বৃহস্পতিবার জঙ্গিদের খোঁজে ভোররাত থেকেই তল্লাশি শুরু করে জওয়ানরা (প্রতীকী চিত্র)
হাইলাইটস
- বারামুল্লায় জঙ্গিদের সঙ্গে সেনার গুলির লড়াই
- তল্লাশি অভিযান চলাকালীন ওই লড়াই শুরু হয়
- ওই এলাকায় ঘাপটি মেরে রয়েছে কিছু জঙ্গি
বারামুল্লা: জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) বারামুল্লা জেলায় চলছে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই। গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে ওই এলাকায় (Baramulla) লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের সন্ধানে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে সিআরপিএফ এবং সুরক্ষা বাহিনীর একটি যৌথ দল তল্লাশি অভিযান শুরু করে। অভিযান শুরুর বিষয়টি টের পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লুকনো ঘাঁটি থেকে যৌথ বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা (Terrorist)। সেনা জওয়ানদের পক্ষ থেকেও পাল্টা গুলি চালানো হয়। গোটা এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। জানা গেছে, জঙ্গিদের নাগাল পেতে দিনভর অভিযান চালাবে যৌথ বাহিনী। বারামু্ল্লার ঋষিপোরায় যে জঙ্গি দমন অভিযান চালাচ্ছে যে যৌথ বাহিনী তাতে রয়েছেন সিআরপিএফ এবং সোপোর এসওজি-র ১৭৯ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা। জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই এখনও চলছে বলে জানা গেছে।
জঙ্গিদের অস্ত্র জোগান দিতে জম্মু ও কাশ্মীরের আকাশে পাক ড্রোন! নামানো হলো গুলি করে
কয়েক সপ্তাহ ধরেই ওই এলাকায় জঙ্গিদমন অভিযান চলছে। যৌথবাহিনীর তৎপরতায় গত সপ্তাহেই প্রায় এক ডজন জঙ্গিকে খতম করা সম্ভব হয়। গত রবিবারও শ্রীনগরে অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী, সেই সময়ও নিকেশ হয় ৩ জঙ্গি। মৃত জঙ্গিদের কাছ থেকে একটি একে -৪৭ রাইফেল এবং দুটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। শ্রীনগরের জাদিবলের জুনিমার এলাকায় জঙ্গিরা আস্তানা গেঁড়ে রয়েছে, গোয়েন্দা সূত্রে এই খবর পেয়ে অভিযান চালায় যৌথবাহিনী।
জম্মু-কাশ্মীরের সোপিয়ান ও পাম্পোরে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই, খতম ৮ জঙ্গি
অনেক সময়ই এমন অভিযোগ উঠেছে যে, কাশ্মীরে ঘাপটি মেরে থাকা জঙ্গিদের বাইরে থেকে মদত জোগাচ্ছে পাকিস্তান। গত শনিবারই জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) কাঠুয়ার কাছে একটি অস্ত্র বহনকারী ড্রোনকে গুলি করে নামায় বিএসএফ। ওই পাকিস্তানি ড্রোনের ভেতর থেকে একটি এম-৪ আমেরিকায় তৈরি রাইফেল, ২টি ম্যাগাজিন, ৬০ রাউন্ড বুলেট এবং সাতটি গ্রেনেড উদ্ধার হয়। অনুমান, জম্মু ও কাশ্মীরে ঘাপটি মেরে থাকা জঙ্গিদের সাহায্যের জন্যেই পাকিস্তান থেকে ড্রোন মারফৎ ওই অস্ত্র জোগান দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল, যা ব্যর্থ করে দেয় বিএসএফ।
জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্ত সম্পর্কে এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, " নির্লজ্জভাবে জঙ্গিদের মদত দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যায় পাকিস্তানি এজেন্সিগুলো। কাশ্মীরের শান্তি ও শৃঙ্খলা ব্যাহত করার লক্ষ্যেই জঙ্গিদের মদত জোগাচ্ছে তারা"।