This Article is From May 27, 2020

দোষারোপের রাজনীতি বন্ধ করে মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিন: রাজ্যপাল

West Bengal: গ্রামীণ অঞ্চলগুলোর পরিস্থিতি "ভয়াবহ", সেদিকে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের, বলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়

দোষারোপের রাজনীতি বন্ধ করে মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিন: রাজ্যপাল

Jagdeep Dhankhar: গ্রামীণ এলাকাগুলোর দিকে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত, মনে করেন রাজ্যপাল

হাইলাইটস

  • আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে ফের একবার রাজ্যপালের নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী
  • মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দোষারোপের রাজনীতি করা বন্ধ করতে অনুরোধ ধনখড়ের
  • ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফ থেকে পশ্চিমবঙ্গকে ১০০০ কোটি টাকা সাহায্য দেওয়া হয়
কলকাতা (পশ্চিমবঙ্গ):

বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় আমফান পশ্চিমবঙ্গকে (West Bengal) রীতিমতো তছনছ করে দিয়ে গেছে, এই অবস্থায় ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) কাছে রাজ্যের আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলেন তিনি (Jagdeep Dhankhar)। পাশাপাশি, এই সময় রাজনীতির দান না চেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যের দুর্গত মানুষজনের হাতে আরও বেশি করে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার আহ্বানও জানান রাজ্যপাল। একটি টুইট করে আগেই জগদীপ ধনখড় বলেন, "বিদ্যুৎ, জল এবং প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলি স্বাভাবিক করা অত্যন্ত জরুরি। তাই এগুলোকে ফেরাতে আরও বেশি করে তৎপর হওয়া প্রয়োজন। কলকাতা এবং তার বাইরের বিভিন্ন অঞ্চলের ভয়াবহ দুর্ভোগের তথ্যগুলি সমস্ত সামনে আনতে চান না। সংবাদমাধ্যমের সামনে কথা বলার মতো যথেষ্ট সময়ও নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। এখন যেটা প্রয়োজন তা হল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছনো"।

আমফান দুর্গত বাংলাকে ঘোষণা মতোই ১,০০০ কোটি টাকা সাহায্য কেন্দ্রের

রাজ্যপালের মতে, আমফানের পর পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ হত না যদি "রাজনীতির পরিবর্তে" সঠিক সময়ে প্রস্তুতির দিকে মনোযোগ দেওয়া হতো। গ্রামীণ অঞ্চলগুলোর পরিস্থিতি "ভয়াবহ", সেদিকে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের, বলেন জগদীপ ধনখড়।

আমফান বিধ্বস্ত বাংলার সাহায্যে আরও সেনা পাঠানো হোক, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি অধীর চৌধুরীর

জগদীপ ধনখড় তাঁর টুইটে লেখেন, "কলকাতা ও জেলার পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর। পানীয় জল, বিদ্যুৎ,জরুরি পরিষেবা অমিল।এখনও ভয়ঙ্কর কষ্টে রয়েছেন মানুষ। এখন আত্মতুষ্টির সময় নয়। আরও বেশি ত্রাণ পৌঁছানোই প্রধান কাজ হওয়া উচিত। রাজনীতি না করে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত ছিল। মন্ত্রী বিধায়করা প্রকাশ্যে হেনস্থা হচ্ছেন। হেনস্থার ঘটনা বাস্তব পরিস্থিতির প্রমাণ। গ্রামীণ এলাকায় পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর। সেইসব এলাকায় বাড়তি নজর দিতে হবে। সংবিধান মেনে পরিস্থিতি সম্পর্কে রিপোর্ট দেওয়ার জন্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করছি।'"

দিনকয়েক আগে আরও একবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে তোপ দাগেন রাজ্যপাল। সেই সময় তিনি বলেন, যদি রাজ্যপালের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করতেন তৃণমূল সুপ্রিমো তবে ঘূর্ণিঝড় আমফান পরবর্তী ত্রাণসাহায্যের কাজ করার জন্য আরও দিন তিনেক আগে সেনাবাহিনীকে ডাকা যেত।

গত সপ্তাহে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, এরাজ্যে এসে আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখে যান। প্রধানমন্ত্রী সেই সময় ঘূর্ণিঝড় ও কোভিড -১৯ সংকটের ফলে হওয়া পরিস্থিতি মোকাবিলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের করা পদক্ষেপের প্রশংসাও করেন।

প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের জন্যে এক হাজার কোটি টাকার ত্রাণ সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন এবং ইতিমধ্যেই সেই টাকা রাজ্যের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আমফানের কারণে আহতদের জন্যে ৫০,০০০ টাকা এবং নিহতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে সাহায্য দেওয়ারও ঘোষণা করা হয়।

.