This Article is From Feb 10, 2020

Watch Pics: মানুষের ঢলে শেষ তারকাখচিত বইমেলা, আগামী বছরের থিম কান্ট্রি Bangladesh

সমস্ত প্রকাশনা সংস্থা, পাঠক, বইপ্রেমী এবং শহরবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে এদিন রাতে শেষের ঘণ্টা বাজে। আগামী বছর বইমেলার থিম কান্ট্রি বাংলাদেশ

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Written by

শেষ ৪৪ তম কলকাতা বইমেলা

কলকাতা:

তখনও শেষের ঘণ্টা বাজেনি। ৪৪ তম বইমেলায় (44th International Kolkata Book Fair) তখনও মানুষের ঢল। বইপ্রেমীরা তখনও বইয়ের পাতা ওলটাচ্ছেন। শেষ মুহূর্তে যদি ভালো বইয়ের খোঁজ মেলে, এই আশায়। বিক্রেতারাও শেষ মুহূর্তের বিক্রিবাটায় ব্যস্ত। ৪৪ বছরের সেই চেনা ছবি দেখা গেছে রবিবারে মেলার ভাঙা হাটে। মেলা ভাঙতেই উদাসী পাঠক বইয়ের ব্যাগ হাতে ঘরমুখো। এবছরের মতো মেলায় ইতি টানার আগে মঞ্চে উপস্থিত মন্ত্রী, বিধায়ক, বিশিষ্ট জন এবং গিল্ড কর্তৃপক্ষ। ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, গিল্ডের পক্ষ থেকে শুধাংশুশেখর দে, ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় ও আরও বিশিষ্ট জনেরা। সমস্ত প্রকাশনা সংস্থা, পাঠক, বইপ্রেমী এবং শহরবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে এদিন রাতে শেষের ঘণ্টা বাজে। আগামী বছর আরও একবার ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি নিয়ে। একই সঙ্গে গিল্ডের তরফ থেকে জানানো হয়, আগামী বছর বইমেলার থিম কান্ট্রি বাংলাদেশ (Bangladesh)।

৪৪ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় সপ্তম কলকাতা সাহিত্য উৎসবের উদ্বোধন করেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন প্রধান আয়োজক সুজাতা সেন, গিল্ড সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়, সম্পাদক সুধাংশুশেখর দে।

এবছর বাংলা ছবির স্বর্ণযুগের দুই কিংবদন্তি কমেডিয়ান ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, জহর রায়ের শতবর্ষ উদযাপিত হচ্ছে। সেই উদযাপনে সাহিত্য উৎসবে উপস্থিত ছিলেন মাধবী মুখোপাধ্যায়, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের মতো জনপ্রিয় অভিনেতা। তাঁরা দুই মহান শিল্পীর সঙ্গে তাঁদের কাজের অভিজ্ঞতার কথা জানান।

Advertisement

সাহিত্য উৎসবে দেখা গেছে বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী ঊষা উত্থুপকেও। গান গানে তিনি উদযাপন করেন উৎসব। ধন্যবাদ জানান গিল্ড কর্তৃপক্ষকে প্রতিবছর এত সুন্দর মেলা উপহার দেওয়ার জন্য। 

Advertisement

এবারের বইমেলায় একটি প্যাভেলিয়ান হয়েছিল প্রয়াত সাহিত্যিক নবনীত দেব সেনের নামে। সেখআনে উপস্থিত ছিলেন তাঁর মেয়ে নন্দনা সেন। নিজের হাতে মায়ের একটি বই উদ্বোধন করেন  তিনি। মায়ের স্মৃতিচারণ করেন। উপস্থিত ছিলেন, শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়, বাণী বসু, অনিতা অগ্নিহোত্রী প্রমুখ।

সাহিত্য উৎসবে বই উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন শশী থারুর, অপর্ণা সেন, আশিস নন্দী। ছাত্র ও যুব সমাজ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন আর এনআরসি'র বিরুদ্ধে (New Citizenship Law) রুখে দাঁড়িয়েছে, এ ঘটনা দেশের কাছে বড় সম্ভাবনা। শনিবার কলকাতা বইমেলা এসে এমনই দাবি করলেন অপর্ণা সেন (Aparna Sen)। প্রথিতযশা এই চিত্র পরিচালক বলেছেন, "দেশের নাগরিক আগের চেয়ে আরও বেশি সচেতন এবং তত্ত্বাবধায়ক হয়েছেন। এই প্রবৃত্তি ভবিষ্যতের জন্য বড় নিদর্শন।" কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় (Kolkata International Book Festival) অনুষ্ঠিত কলকাতা সাহিত্য উৎসবের এক বিতর্কসভায় অংশ নিয়ে এমন দাবি করেন ওই চিত্র পরিচালক। বিজেপি ( BJP) বরাবর দাবি করে এসেছে, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ তাদের ভোট দিয়ে জিতিয়ে এনেছে। সেই মানুষদের প্রত্যাশা মেটাতে নাগরিকত্ব আইনে সংশোধিত আনা হয়েছে। এবার এই দাবির বিরোধিতা করে অপর্ণা সেনের প্রশ্ন, "১৩০ কোটি নাগরিকের মধ্যে কত শতাংশ মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছে?" তিনি যুক্তি দিয়েছেন, ভারতীয় নির্বাচনী ব্যবস্থায় একজনের জন্য সব ভোট না।

Advertisement

সবার কল্পনায় ছিল, অপূর্ব হয়ত থিতু হয়েছেন। দেশ দেখার নেশায় বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ভাটার টান। একমাত্র ছেলে কাজলও অনেকটাই বড়। বাবা-ছেলে আদৌ মুখোমুখি হয়েছে কিনা কে জানে! পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্র (Subhrajit Mitra) বাঙালির আদরের অপু এখনও দু'মলাটে বন্দি অপূর্বর মতোই শরীরে-মনে টাটকা-তাজা। এখনও তার পায়ের তলায় সর্ষে। উপরিপাওনা নতুন সঙ্গী ছেলে কাজল। বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যার হাত ধরে অপু এখনও জপে চরৈবেতি মন্ত্র, অনায়াসে। কালের ধুলো সরিয়ে ৪৪ তম (Kolkata Book Fair) বইমেলায় সবার সামনে এলেন তাঁরা। প্রকাশ্যে অপু-সঙ্গিনী অপর্ণাও। মুখোমুখি টিম অভিযাত্রিক (Aviijatrik)। অপু-কাজলের নতুন অভিযানের টুকরো ঝলক (Teaser) নিয়ে।

Advertisement