Read in English
This Article is From May 31, 2019

বাণিজ্য ক্ষেত্রে আমেরিকার দেওয়া বিশেষ মর্যাদা হারাতে চলেছে ভারত

 বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এতদিন ভারত আমেরিকা থেকে একটি বিশেষ মর্যাদা পেত (GSP) । এবার সেটি শেষ করতে চলেছে ট্রাম্প প্রশাসন (Trunp Adminisrtration) ।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

শেষমেশ সুবিধা প্রত্যাহারের পথেই হাঁটল মার্কিন প্রশাসন।

Highlights

  • বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এতদিন ভারত আমেরিকা থেকে একটি বিশেষ মর্যাদা পেত
  • এবার সেটি শেষ করতে চলেছে ট্রাম্প প্রশাসন
  • তাদের তরফে বৃহস্পতিবার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ‘সিদ্ধান্ত পাকা’
ওয়াশিংটন :

 বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এতদিন ভারত আমেরিকা থেকে একটি বিশেষ মর্যাদা পেত (GSP) । এবার সেটি শেষ করতে চলেছে ট্রাম্প প্রশাসন (Trunp Adminisrtration) । তাদের তরফে বৃহস্পতিবার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ‘সিদ্ধান্ত পাকা'। কূটনৈতিক মহলের একাংশ মনে করেছিল নরেন্দ্র মোদী আবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন প্রশাসনের সুসম্পর্কের কথা সকলেই জানেন। এমতাবস্থায় এমন কোনও সিদ্ধান্ত হবে না। তবে শেষমেশ সেটাই হল। গত মার্চ মাসে ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে বলা হয় ভারতকে ‘জেনারালাইজড সিস্টেম অফ প্রেফারেন্স' থেকে বের করে দেওয়া হবে। এই ব্যবস্থাপনার মধ্যে যে সমস্ত দেশ গুলি থাকে তারা তাদের দেশ থেকে আমেরিকায় জিনিস পত্র পাঠাতে একটি বিশেষ ধরনের সুবিধা পেয়ে থাকে। এতদিন ভারতও সেই সুবিধা পেত কিন্তু এবার থেকে তা আর পাবে না। 

আজ বিকেলে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক, কে কোন দায়িত্বে তা নিয়ে রহস্য

এই ব্যবস্থাপনার সুবিধা যে কয়েকটি দেশ পেত তার মধ্যে ভারতের উপকার হতো সব থেকে বেশি। শুধু ২০১৭ সালে ৫.৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের জিনিস আমেরিকায় পাঠাতে পেরেছে ভারত। তবে এরকম কোনও নীতি ভারতের দিক থেকে না থাকায় আগেই আপত্তি জানিয়েছিল আমেরিকা। শেষমেশ সুবিধা প্রত্যাহারের পথেই হাঁটল মার্কিন প্রশাসন। 

Advertisement

মন্ত্রী নয়, মোদী সরকারে অস্থায়ী স্পিকারের দায়িত্বে মানেকা গান্ধী

মার্কিন  প্রশাসনের  এক কর্তা বলেন, নরেন্দ্র মোদী নতুন করে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন এতে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও সুগম হবে। কিন্তু মার্চ মাসে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া  হয়েছিল তা পরিবর্তনে তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। আমার মনে হয় বিষয়টি ইতিমধ্যেই পাকা হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু এটাই দেখার যে আগামী দিন বিষয়টি আমাদের তরফ থেকে কীভাবে করা হয়। ওই কর্তা জানান মার্কিন প্রশাসনের তরফে চেষ্টা করা হচ্ছে এমন কোনও ভাবে গোটা বিষয়টিকে শেষ করতে যাতে মোদী সরকার দ্বিতীয় বার কোনও একটি পথে এগিয়ে এই সুবিধা পাওয়ার জায়গায় পৌঁছতে পারে। তিনি মনে করেন ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনেক গুলি দিক রয়েছে। অনেক সম্ভাবনার সামনেই দাঁড়িয়ে রয়েছে এই দুই দেশের সম্পর্ক।

Advertisement

ভারতের সঙ্গে সঙ্গে তুরস্কের কাছ থেকেও এই বিশেষ সুবিধা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পথে হাঁটছে ওয়াশিংটন। কারণ আমেরিকা মনে করে তুরস্ক এই মুহূর্তে আর  উন্নতশীল উন্নয়নশীল দেশ নয়।  অন্যদিকে আমেরিকা থেকে দুগ্ধজাত দ্রব্য আনার ক্ষেত্রেও ভারতের দাবি খারিজ হয়েছে। ভারতের তরফে কয়েকটি বিষয় মার্কিন প্রশাসনের নজরে আনা হয়েছিল। কিন্তু সেগুলি মানতে চাইছে না আমেরিকা। সে কথা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ভারতকে।

Advertisement