বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, পড়ুয়াদের লেগিংস খুলে ফেলতে বাধ্য করার কোনও ঘটনা ঘটেনি। (প্রতীকী)
বোলপুর: কচিকাঁচা ছাত্রীরা শীতের সকালে লেগিংস পরে আসায় তাঁদের পোশাক খুলে নিল স্কুল কর্তৃপক্ষ! এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে বোলপুরে একটি ইংলিশ মিডিয়াম মিশনারি স্কুলের (English medium missionary school) বিরুদ্ধে। ওই বিদ্যালয়ের জুনিয়র বিভাগের বেশ কয়েকজন ছাত্রী স্কুলের পোশাক বিধির সাথে সাযুজ্য না রেখেই লেগিংস পরে স্কুলে আসায় তাঁদের পরণের ওই লেগিংস খুলে ফেলতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। সোমবার ওই স্কুলে এই ঘটনাটি ঘটে এবং মঙ্গলবার সকালে বিদ্যালয়ের বাইরে প্রতিবাদী অভিভাবকরা জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ দেখান। অভিভাবকরা জানিয়েছেন যে, সোমবার সকালে বেশ শীত থাকায় পাঁচ থেকে নয় বছর বয়সী ছাত্রীরা স্কুলে লেগিংস পরেছিল।
আরও পড়ুনঃ কর ফাঁকির অভিযোগে ইন্দিরা গান্ধির জন্মস্থানকে ৪.৩৫ কোটি টাকার নোটিশ!
প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাবা বলেন, “আমার মেয়ে যখন সোমবার বিকেলে বাড়ি ফিরে আসে যখন দেখি আমার মেয়ের পরণে লেগিংসটা নেই। জিজ্ঞাসা করার পরে আমার মেয়ে বলে যে, ক্লাসের শিক্ষক টিফিনের সময় তার লেগিংস খুলে দেন। আমি শুনেছি যে, স্কুলের অধ্যক্ষই শ্রেণি শিক্ষকদের এমনটা করার আদেশ দিয়েছিলেন... আমার মেয়ে গত দুই বছর ধরে স্কুলে লেগিংস পরেই যাচ্ছে।” অভিভাবকরা পুলিশে অভিযোগ করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্কুলের অধ্যক্ষ ক্ষমা চেয়েছেন।
বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, পড়ুয়াদের লেগিংস খুলে ফেলতে বাধ্য করার কোনও ঘটনা ঘটেনি। অধ্যক্ষ বলেন, “ছাত্রীদের কেবলমাত্র তাদের লেগিংস জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল কারণ তারা স্কুলের পোশাক বিধি অনুযায়ী পোশাক পরে আসেনি।”
আরও পড়ুনঃ মায়ের সঙ্গেই সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে হাজির সাংসদ মিমি চক্রবর্তী, ভাইরাল হল ছবি
বিদ্যালয়ের একজন প্রবীণ শিক্ষক বলেন, বিদ্যালয়ের একটি নির্দিষ্ট পোশাক বিধি রয়েছে। তবে, পড়ুয়ারা যে লেগিংস পরে এসেছিল তা ওই পোশাক বিধির মধ্যে পরে না। তিনি বলেন, “পড়ুয়াদের কেবলমাত্র তাদের লেগিংস পালটাতে বলা হয়েছিল, কেউ ওদেরকে লেগিংস খুলে ফেলতে বাধ্য করেনি।”
কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা ওই ঘটনার বিষয়ে কঠোর দৃষ্টিভঙ্গিই নিয়েছি।” শিক্ষামন্ত্রী জানান, “জেলা শিক্ষা বিভাগ স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এই বিষয়ে প্রতিবেদন চেয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পরেই আমি যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত করব। আমরা ICSE বোর্ডের সঙ্গেও কথা বলব।"