This Article is From Mar 18, 2020

সেনা জওয়ান করোনা আক্রান্ত। আধা সামরিক বাহিনীকে তটস্থ থাকতে কেন্দ্রের নির্দেশ

মঙ্গলবার লাদাখ রেজিমেন্টে কর্মরত ভারতীয় সেনার এক জওয়ানের দেহে কোভিড-১৯ -এর অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে

"যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ফিরে যাও।" করোনা সংক্রমণ রোধে বার্তা আধাসেনার জওয়ানদের।

নয়া দিল্লি:

মঙ্গলবার লাদাখ রেজিমেন্টে নিযুক্ত ভারতীয় সেনার এক জওয়ানের দেহে কোভিড-১৯ -এর (Covid-19) অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, সেই জওয়ানের বাবা সম্প্রতি ইরান থেকে ফিরেছেন। সেই সফরের জেরে ভাইরাস সংক্রমণ ওই সেনার বাবার সঙ্গে তাঁর বোনের শরীরেও হয়েছে। এরপরেই তড়িঘড়ি পরিস্থিতি সামলাতে উদ্যোগ নিল কেন্দ্র। করোনা প্রতিরোধে আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানদের (Para Military Force) যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ফিরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, আক্রান্ত সেনা জওয়ানের সঙ্গে ১০ জন এক ছাউনিতে ছিল। সেই ১০ জনকে পর্যবেক্ষণে পাঠানো হয়েছে। লাদাখ (Ladakh Regiment) রেজিমেন্টের প্রায় ৮০০ জন সেনাকে স্বেচ্ছা-গৃহবন্দি হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ তালাবন্দি করা হয়েছে লেহ স্কাউটস।  সংক্রমণ নিরোধক করা হয়েছে ওই ছাউনি। এদিকে, কোভিড-১৯ এদেশে ৩ জনের প্রাণ কেড়েছে। সংক্রমিত ১৪৭ জন।

শত্রু করোনায় কাহিল ভারতীয় সেনাও, "করোনা ভাইরাস পজিটিভ" সেনা আধিকারিকের

তাই সতর্কতা অবলম্বনে নির্দেশিকা জারি করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এডিজি (মেডিক্যাল) চিকিৎসক মুকেশ সাক্সেনা। সেই নির্দেশিকায় বলা, "আইসিএমআর ভারতকে এক মাস সময় দিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ধীরে ধীরে সংক্রমণের মাত্রা বাড়াতে পারে কোভিড-১৯। তাই ভারতীয় চিকিৎসা ব্যবস্থাকে সচল রাখতে করোনা উপসর্গ মনে হলেই নিজেদের স্বেচ্ছা-বন্দি করুন। এর ফলে চিকিৎসা পরিকাঠামোর ওপর চাপ কমবে।" 

বাংলার প্রথম করোনা সংক্রমণ নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী

সেই নির্দেশিকাতে আরও বলা হয়েছে, দ্রুত সংক্রমিত ভাইরাস কোভিড-১৯। এই মহামারী মধ্যবর্তী সময়ে ভারতে বিপর্যয় ঘটিয়েছে। লাগু হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় আইন। ফলে সেই আইন মেনে সব ধরনের স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশাসনিক কাজে রাশ টানা হয়েছে। তাঁদের দায়িত্ব লাঘব করতে এই সিদ্ধান্ত।" 

d3qne14oকোভিড-১৯, এদেশে ১৪৭ জনের দেহে সংক্রমিত। মৃত ৩। 

গোটা দেশে প্রায় ১০ লাখ আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন। যে তালিকায় লাদাখ, লেহর মতো দুর্গম ; জম্মু-কাশ্মীর ও নকশাল প্রভাবিত উপদ্রুত এলাকাও আছে। আছে উত্তরপূর্ব ভারতও। তাই এই দীর্ঘ পরিকাঠামো খাতে আধা-সামরিক বাহিনীকে পর্যাপ্ত শুশ্রূষা দেওয়া ও সুস্থ রাখা অন্যতম প্রতিবন্ধকতা। তাই প্রয়োজন ছাড়া ব্যারিকেড না ছাড়তে আর পারিবারিক সফর এড়াতে বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। 

.