মঙ্গলবার ওই প্রতিনিধি দল জম্মু ও কাশ্মীর পরিদর্শনে যেতে পারে বলেও জানা যাচ্ছে।
নয়াদিল্লি: সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের (Ajit Doval) সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরের (J&K) পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে আসছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ২৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল। সূত্রানুসারে একথা জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার ওই প্রতিনিধি দল জম্মু ও কাশ্মীর পরিদর্শনে যেতে পারে বলেও জানা যাচ্ছে। ওয়াশিংটনে রাষ্ট্রসঙ্ঘের এক বৈঠকে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেন জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি সম্পর্কে। গত আগস্টে জম্মু ও কাশ্মীরের ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস' তুলে নিয়ে তাকে দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া সংক্রান্ত ভারপ্রাপ্ত সহ-সচিব অ্যালিস জি ওয়েলস জানিয়েছিলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সহ রাজনৈতিক নেতা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের আটক করার বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
কর্তারপুর করিডর চালু করতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত
গত সপ্তাহে ওই বৈঠকে অ্যালিস বলেন, ‘‘আমরা ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে আর্জি জানিয়েছি মানবাধিকারের সম্মান করতে এবং ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা সহ সেখানকার সব পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে।''
যদিও এর আগে আমেরিকা জানিয়েছিল, জম্মু ও কাশ্মীরে সরকারের পদক্ষেপ ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। কেন্দ্র আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জানিয়ে দিয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে তারা পদক্ষেপ করছে।
"দুর্দান্ত উদ্যোগ": কেন্দ্রের স্বাস্থ্য প্রকল্পের প্রশংসায় সলমন খুরশিদ
ইউরোপীয় প্রতিনিধিদের আসার খবর পেয়ে আটক কাশ্মীরী নেত্রী মেহবুবা মুফতির কন্যা ইতিজা মুফতি টুইট করে জানান, ‘‘আশা করা যায় তাঁরা সুযোগ পাবেন সাধারণ মানুষ, স্থানীয় সংবাদমাধ্যম, চিকিৎসক ও সুশীল সমাজের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার। বিশ্ব ও কাশ্মীরের মধ্যে ফেলে রাখা লোহার পর্দাটা এবার তুলে নেওয়া দরকার। এবং জম্মু ও কাশ্মীরকে টালমাটাল পরিস্থিতিতে ফেলার জন্য ভারত সরকারকে দায়ী করা হোক।''