তিনি ব্রেক্সিট প্রস্তাব পাস করাতে পারেননি। কিন্তু সরকার টিকিয়ে রাখতে পারলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। হাউজ অফ কমনস – এ ৩২৫ টি ভোট পেয়ে সরকার টিকিয়ে রাখলেন টেরেসা। বিপক্ষে পড়ল ৩০২ টি ভোট। ঠিক একদিন আগে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে সংসদে। ব্রিটেনের কোনও প্রধানমন্ত্রীকে সংসদের অন্দরে ভোটের অঙ্কে এতবড় হারের মুখে শেষ একশো বছরে কখনও পড়তে হয়নি। এত বড় একটা পরাজয়ের পর ব্যর্থতার নৈতিক দায়িত্ব নিয়ে পদত্যাগ করাই সাধারণ প্রবণতা। কিন্তু সে রাস্তায় না হেঁটে আস্থা ভোটে লড়াই করে জয় ছিনিয়ে আনলেন টেরেসা। প্রধানমন্ত্রী পদে থেকে তাঁর যাওয়ার সিদ্ধান্ত অনেককেই অবাক করেছে। তার মধ্যে অন্যতম হলেন লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জনাথন টোঙ্গে।
এই পর্বে জয় পেলেও সংসদের সংসদের অন্দরের লড়াই থেকে এখনই ছাড় পাচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী। সামনের সোমবার আবার সংসদে এসে ব্রেক্সিটের পক্ষে সওয়াল করতে হবে তাঁকে। ২৮ সদস্যের ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য কোনও এক প্ল্যান বি ভেবে রাখতে হবে তাঁকে।
জয়ের পর সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন টেরেসা। তিনি বলেছেন এটা বুঝতেই পারছি সংসদের বাইরে যাঁরা রয়েছেন তাঁদের জন্য গত ২৪ ঘণ্টা অনেক অস্থিরতা বয়ে এনেছে। এখন এটা সকলেই বুঝতে পেরে গিয়েছে সংসদ কী চায়। আমাদের সেটা মাথায় রেখেই এগোতে হবে। একই সঙ্গে দ্বিতীয়বার ভোটের সম্ভবনা খারিজ করে দিয়েছেন টেরেসা।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে বছর দুয়েক আগে গণভোট হয়েছিল ব্রিটেনে। রায় গিয়েছিল ব্রেক্সিট বা প্রস্থানের পক্ষে। ঠিক হয়েছিল ধীরে ধীরে প্রক্রিয়া শুরু হবে। সেই মতো আর কয়েক মাসের মধ্যেই ব্রিটেনের ওই ইউনিয়ন ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু বিট্রেনের সংসদে ধাক্কা খায় সেই প্রস্তাব। ৪৩২ জন সাংসদ ভোট দেন প্রস্তাবের বিপক্ষে। এরপরই আস্থা ভোট হয় সংসদে। তাতে জিতলেন টেরেসা।