This Article is From Sep 24, 2019

"এমনকি মুসলিমরাও বলেন হিন্দুদের কাছে অযোধ্যা তাঁদের মক্কার মতোই": সুপ্রিম কোর্ট

Ayodhya Case: "এমনকি মুসলিম সাক্ষীরাও (বিচার চলাকালীন) বলেছেন যে তাঁদের কাছে যেমন মক্কা পবিত্র তেমনি হিন্দুদের কাছেও অযোধ্যা। হিন্দুদের বিশ্বাসকে অস্বীকার করা কঠিন" বললেন বিচারপতিরা।

Ram Janmabhoomi Babri Masjid Case: সুপ্রিম কোর্টের একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ অযোধ্যা জমি বিবাদ মামলার শুনানি করছে

নয়া দিল্লি:

রামের জন্মস্থান হিসাবে অযোধ্যা সম্পর্কে হিন্দুদের বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তোলা মুশকিল হবে, এমনটাই মনে করছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত (Supreme Court) । সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, অযোধ্যা জমি সমস্যা (Ayodhya Case) নিয়ে বিচার চলাকালীন মুসলিম সাক্ষীরাও বলেছেন যে তাঁদের কাছে যেমন মক্কা পবিত্র তেমনি হিন্দুদের কাছেও অযোধ্যা একই রকম পবিত্র। রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ জমি সমস্যা (Ram Janmabhoomi Babri Masjid Case) নিয়ে চলা মামলায় প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে ৫-বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ মুসলিম পক্ষের হয়ে সওয়াল জবাব করা প্রবীণ আইনজীবী রাজীব ধাওয়ানকে প্রশ্ন করে,কোনও মূর্তি বা দেবতার ঈশ্বরত্ব এবং "সঠিক রূপ" নিয়ে "আইনশাস্ত্র" আলোচনা করতে পারে কিনা?"। "এমনকি মুসলিম সাক্ষীরাও (বিচার চলাকালীন) বলেছেন যে তাঁদের কাছে যেমন মক্কা পবিত্র তেমনি হিন্দুদের কাছেও অযোধ্যা। হিন্দুদের বিশ্বাসকে অস্বীকার করা কঠিন" বলেন বিচারপতি এস এ ববদে, ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, অশোক ভূষণ ও এসএ নাজিরের সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ ।

Ayodhya Case:১৮ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করতে হবে শুনানি, প্রয়োজনে মধ্য়স্থতাও, বলল সুপ্রিম কোর্ট

রাজীব ধাওয়ান, সুন্নি ওয়াক্ফ বোর্ড এবং মূল আইনজীবী এম সিদ্দিক সহ অন্যদের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন যে, 'বিশ্বাসের' জন্মস্থানকে দাবি ও আইনত মর্যাদা দেওয়ার ক্ষেত্রে একমাত্র বিশ্বাসই ভিত্তি হতে পারে না।

তিনি অবশ্য রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল এই মামলায় ২৯ তম শুনানির দিনে ভারতের মতো বৈচিত্রপূর্ণ দেশে ভগবান রাম ও আল্লাহকে সমান সম্মান জানানোর পক্ষে সওয়াল করেন।

"যদি ভগবান রাম ও আল্লাকে সম্মান না করা হয় তবে এই মহান জাতির মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে যাবে," প্রবীণ আইনজীবী বলেন, তবে 'রাম লল্লা বিরাজমান' দাবীর পক্ষে দায়ের করা মামলার পক্ষে পবিত্র ভূমির জন্য ন্যায়বিচারের মর্যাদা দিয়ে একটি জন্মস্থানকে দল হিসাবে গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন তিনি।

‘অত্যাচারিত মনে হচ্ছে', প্রতিদিন অযোধ্যা মামলা শুনানি প্রসঙ্গে মত আইনজীবী ধাওয়ানের

অযোধ্যায় শতাব্দী প্রাচীন বাবরি মসজিদটি ১৯৯২ সালে ভেঙে দেওয়া হয়। কিছু হিন্দুত্ববাদীর দাবি ছিল এই মসজিদের জায়গায় রামের জন্মস্থান বলে পরিচিত এই অঞ্চলে একটি প্রাচীন মন্দির ছিল, সেই মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের উপরই নির্মিত হয়েছিল মসজিদটি। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনায় সারা দেশে ২ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিলেন বলে জানা যায়।

২০১০ এলাহাবাদ হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে চোদ্দোটি আবেদন জমা পড়েছে। এর ফলে চারটি মামলা রুজু হয়েছে। এলাহাবাদ হাইকোর্ট বলেছিল, ২.৭৭ একরের অযোধ্যার জমিটি তিনটি পক্ষকে সমান ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে। সেই তিনটি পক্ষ হল রামলীলা বিরাজমান, নির্মোহী আখড়া এবং সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড।

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ, যেটি ষোড়শ শতকে শিয়া মুসলিম মির বাকি নির্মাণ করিয়েছিলেন, সেটি ভেঙে দেওয়া হয়।

.