தமிழில் படிக்க Read in English
This Article is From Jul 24, 2018

বিজেপির প্রতি ক্ষোভ নেই, দল ছেড়েছি বাংলার হয়ে কাজ করতে বললেন চন্দন মিত্র

গত 21 জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসের সভায় হাজির হয়ে রাজনৈতিক জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করেছেন তিনি।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

Highlights

  • গত সপ্তাহে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন সাংসাদ চন্দন মিত্র
  • অতীতে বার বার তৃণমূল ও দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনায় সরব হয়েছ
  • বাংলার মানুষের স্বার্থে কাজ করার একমাত্র জায়গা তৃণমূল
নিউ দিল্লি :

এক সময় তিনি বলেছিলেন, তৃণমূলের আমলে বাংলায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। তাঁর আরও মনে হয়েছিল তৃণমূল কর্মীদের অবস্থা দাসেদের থেকেও খারাপ। এবং তারা গুণ্ডা! এ হেন চন্দন মিত্র ইতিমধ্যেই শিবির বদলেছেন। গত 21 জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসের সভায় হাজির হয়ে রাজনৈতিক জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করেছেন তিনি।

কেন এই দলবদল? নিজেই জানালেন সোমবার। সাংবাদিক থেকে সম্পাদক শেষে  রাজ্যসভার দু’বারের সাংসদ, দীর্ঘ পথ পার করে আসা এই নেতা এনডিটিভিকে জানালেন, প্রতিটি মানুষেরই পরিস্থিতি অনুসারে রাজনৈতিক মত পরিবর্তনের  স্বাধীনতা আছে।  এখন বাংলার মানুষের স্বার্থে কাজ করতে হলে একমাত্র দল তৃণমূল। আর তাই রাজ্যের স্বার্থেই বিজেপি ছেড়েছেন।

তাঁর কথায়, আমি বেশ কয়েক বছর ধরে বুঝতে শুরু করেছিলাম বাংলার মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হলে তৃণমূল ছাড়া আর কোনও গতি  নেই। আর তাই দীর্ঘ ভাবনা চিন্তার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেছি।

Advertisement

চন্দন মিত্র বিজেপির রাজনীতিতে বড় নাম। প্রথম থেকেই বাংলার তুলনায় দিল্লিতেই বেশি সক্রিয় চন্দন। দু’বার রাজ্যসভার সাংসদও হয়েছিলেন। কিন্তু দিন কয়েক আগে থেকে তাঁর দলত্যাগ নিয়ে জল্পনা দানা বাঁধতে শুরু করে। রাজনৈতিক মহল থেকে বলা হতে থাকে চন্দনের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। আর তাই নাকি তাঁকে রাজ্যসভায় মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। এরপর দল ত্যাগ করেন প্রাক্তন সাংসদ।কিন্তু এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁর দাবি, বিজেপির প্রতি কোনও ক্ষোভ নেই। বিজেপি তাঁকে সাংসদ হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। তাছাড়া নানা গুরুত্বপূর্ণ পদও পেয়েছেন তিনি। কিন্ত  মানুষের হয়ে কাজ করার জন্যই দল ছেড়েছেন।

এখন তৃণমূলে যোগ দিলেও এতদিন তিনি ছিলেন ঘাসফুল শিবিরে অন্যতম সমালোচক। 2014 সালে পরপর কয়েকটি টুইট করে তৃণমূলের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন চন্দন। তারপর 2017 সালে এনডিটিভি’র জন্য লেখা একটি প্রবন্ধে সরাসরি আক্রমণ করেছিলেন মমতাকে। তাঁর মনে হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী  তোষনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন।

Advertisement

 

Advertisement