মঞ্জু দেবী তাঁর পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য
সমস্ত প্রতিকূলতা পেড়িয়ে মঞ্জু দেবী উত্তর পশ্চিম রেলওয়ের প্রথম মহিলা কুলি হিসাবে নিজের জীবিকা শুরু করলেন। এটা এমনই এক পেশা, যা এতকাল পুরুষকেন্দ্রিক মনে করা হত। কিন্তু শ্রীমতী দেবী সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানান, তিনি মনে করেন পুরুষ এবং মহিলা সমান, কোনও কাজই কঠিন নয়। টুইটার শ্রীমতী দেবীর জীবন সম্পর্কে এই ধারণাকে সাধুবাদ জানিয়েছে।
তাঁর স্বামী মহাদেবের মৃত্যুর পর শ্রীমতী দেবী জয়পুর স্টেশনে মালপত্র বহনের মত কঠিন একটা কাজ জীবনধারণের জন্য বেছে নেন। তিনি তাঁর স্বামীর কুলি লাইসেন্স নম্বর 15 ধারণ করে কাজ করা শুরু করেন।
এএনআই জানায়, তাঁর পরিবারে তিনিই একমাত্র রোজগেরে সদস্য।
“আমার স্বামীর মৃত্যুর পর তিন সন্তানকে নিয়ে আমি অসহায় হয়ে পড়েছিলাম। তারপর আমি এখানে এলাম, যেখানে সেও কাজ করতো। শুরুতে খুবই কঠিন ছিল, আমি হিন্দি বা ইংলিশ কিছুই বুঝতাম না, ব্যাগ গুলো খুব ভারি মনে হত কিন্তু এখন সহজ হয় গেছে। অন্যান্য কুলিরা আমায় খুব সাহায্য করেছিল”, এএনআই-কে তিনি জানান।
মঞ্জু দেবীর জন্য টুইটার ইউজাররা আপ্লুত হয়ে লেখেন, "মঞ্জু দেবীর মতো মানুষরা প্রমাণ করেন পুরুষের কাজ বলে আলাদা কিছু হয় না। ভারতে মঞ্জু দেবীর মতো আরও মানুষ প্রয়োজন।"
রাষ্ট্রপতি ভবনে উপস্থিত হওয়া 90 জন মহিলার মধ্যে মঞ্জু দেবী অন্যতম। রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ তাঁদের কাজকে সাধুবাদ জানান।
মহিলা ও শিশু কল্যাণ দপ্তর নির্বাচিত 112 জন মহিলা যারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন, শ্রীমতী দেবী তাদেরই একজন। Click for more
trending news