This Article is From Jun 11, 2019

এনডিএ, ইউপিএ দুই আমলেই জিডিপি বৃদ্ধির মান অতিরিক্ত ধরা হয়েছে: প্রাক্তন মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা

তিনি জানান, তিনি যখন সরকারের সঙ্গে কাজ করছিলেন তিনি পরস্পরবিরোধী তথ্যের মধ্যে জড়িয়ে গিয়েছিলেন। তিনি সরকারকে তাঁর সংশয়ের কথা জানিয়েছিলেন।

তাঁর প্রস্তাব, বৃদ্ধির মান জন্য দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞ, পরিসংখ্যানবিদ, অর্থনীতিবিদদের নিয়ে তৈরি স্বাধীন টাস্ক ফোর্স দিয়ে পুনর্বিবেচনা করা যেতে পারে।

হাইলাইটস

  • তাঁর মতে, গত কয়েক বছরে ভারতের গড় বার্ষিক বৃদ্ধি সম্ভবত ছিল ৪.৫ শতাংশ।
  • ঘোষিত সাত শতাংশ ঠিক নয়।
  • তবে এই অতিরিক্ত মান নির্ণয় রাজনৈতিক নয়।
নয়াদিল্লি:

গত ছ'বছরে ভারতের বৃদ্ধির পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বাড়িয়ে বলেছিল কংগ্রেসের নেতৃত্বের ইউপিএ ও বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ সরকার। এমনই দাবি করলেন প্রাক্তন মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রমনিয়ম। মঙ্গলবার Indian Express সংবাদপত্রে প্রকাশিত এক প্রবন্ধ থেকে তেমনটাই জানা যাচ্ছে। তাঁর গবেষণাপত্রে তিনি জানিয়েছেন, ২০১১-১২ ও ২০১৬-১৭ সালের মধ্যে ভারতের গড় বার্ষিক বৃদ্ধি সম্ভবত ছিল ৪.৫ শতাংশের মতো। ঘোষিত সাত শতাংশ নয়। ২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত সময়কালে নরেন্দ্র মোদীর সরকারে মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত থাকা অরবিন্দ বলেন, ‘‘ভারতের পলিসি অটোমোবাইল চালানো হয়েছে ত্রুটিপূর্ণ সম্ভবত ভাঙা স্পিডোমিটার দিয়ে।'' তবে তিনি জানিয়েছেন, এই অতিরিক্ত মান ব‌লার পিছনে রাজনৈতিক কারণ নেই। তিনি লেখেন, ‘‘আমার গবেষণা থেকে জানতে পেরেছি বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা পরবর্তী সময়ে যে আচমকা জ্বলজ্বল করে ওঠা ভারতের কথা পরিসংখ্যানবিদরা বলছেন, তা আসলে হওয়া উচিত ছিল এমন এক অর্থনীতি যা মজবুত ভাবে এগোচ্ছে কিন্তু চমকপ্রদ ভাবে এগোচ্ছে না।'' 

যৌন হেনস্থা এবং দুর্নীতির অভিযোগে সরতে হল দেশের এক ডজন কর-কর্তাকে

অরবিন্দ জানাচ্ছেন, এটা রাজনীতিবিদরা করেননি। সম্প্রতি ভবিষ্যৎমুখী পরিকল্পনাকে ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্ক ও সাম্প্রতিক বছরগুলির ঊর্ধ্বাভিমুখী পুনর্বিবেচনার কারণেই এটা হয়েছে।

তাঁর মতে টেকনোক্র্যাটরা প্রকৃত কাজগুলি করেছেন মূলত ইউপিএ-২ সরকারের সময়ে। তাঁর মতে, ওই পদ্ধতিতে দু'টি ব্যাপারে লক্ষ্য রাখা হয়েছিল। জিডিপির (Gross Domestic Product) মান যাচাই করতে তথ্যের বিশদ সম্প্রসারণ ও এমন এক প্রণালী অবলম্বন করা যা অনেক বেশি প্রযোজ্য উন্নত প্রযুক্তি ও গতিশীল অর্থনীতির ক্ষেত্রে।

তিনি লেখেন, ‘‘অরাজনৈতিক ধরনের পরিবর্তনকে বোঝা যেতে পারে ২০১৩-১৪ সাল অর্থাৎ ইউপিএ-২ সরকারের শেষ বছরে লাফিয়ে হওয়া বৃদ্ধি থেকে।''

অরবিন্দর মতে, এই ভুল পরিমাপ সবথেকে বেশি হয়েছিল যে ক্ষেত্রে, তা হল আনুষ্ঠানিক উৎপাদন। ২০১১ সালের আগে আনুষ্ঠানিক উৎপাদনের মান বের করা হত জাতীয় আয়ের হিসেব থেকে যা আইআইপির (Index of Industrial Production) কাছাকাছি ও উৎপাদন বিশেষজ্ঞদের হিসেব থেকে।

তাঁর মতে, অর্থনৈতিক বৃদ্ধির ‘ভুল পরিসংখ্যান'সংশোধনের উদ্দীপনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ভারতে বৃদ্ধির প্রকৃত মান ৪.৫ শতাংশ এটা জেনে নিয়ে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা বা কৃষিগত চ্যালেঞ্জটা নিলে তাতে অনেক লাভ হতে পারত।

তাঁর প্রস্তাব, বৃদ্ধির মান দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞ, পরিসংখ্যানবিদ, অর্থনীতিবিদদের নিয়ে তৈরি স্বাধীন টাস্ক ফোর্স দিয়ে পুনর্বিবেচনা করা যেতে পারে। 

পুলিশের একাংশ কাজ করছে না, মানলেন মমতা, পদত্যাগ করুন, দাবি বিজেপির

অরবিন্দর মতে, ‘কর্মসংস্থানবিহীন বৃদ্ধি' আসলে ইঙ্গিত করে প্রকৃত ফল ও মৌলিক গতিশীলতার মধ্যে ফারাকটাকে। তিনি লেখেন, ‘‘বাস্তবে দুর্বল অর্থনৈতিক বৃদ্ধি অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের চাপ তৈরি হচ্ছে আধুনিক জিডিপি বৃদ্ধি থেকে। সামনের দিনে নতুন জ্ঞানের দ্বারা দ্রুত সংশোধনের দিকে এগোনো সম্ভব। জ্ঞানটা হল এই যে, বৃদ্ধির মান অল্প উষ্ণ, প্রবল উষ্ণ নয়। এবং প্রকৃত ৪.৫ শতাংশের বৃদ্ধির মূল্যায়নের ফলে সরকারের প্রশংসনীয় অন্তর্ভুক্তি বিষয়সূচি টিকে থাকা মুশকিল।''

তিনি জানান, তিনি যখন সরকারের সঙ্গে কাজ করছিলেন তিনি পরস্পরবিরোধী তথ্যের মধ্যে জড়িয়ে গিয়েছিলেন। তিনি সরকারকে তাঁর সংশয়ের কথা জানিয়েছিলেন। তবে প্রকৃত তথ্য জানতে যে সময় নিয়ে গবেষণা করা দরকার তা তাঁর ছিল না বলে জানান তিনি। 

.