বিজেপি এবং পিডিপির শাসনকালের মতো দুঃসময় আর দেখেনি কাশ্মীর। মেহেবুবা মুফতির নেতৃত্বাধীন সরকারের সমালোচনায় এভাবেই সরব হলেন উপত্যকার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লা। তিনি বলেন এই সরকারে থাকা দুটি দল, দুটি আলাদা সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের কাজ করেছে। আর সেটাই কাশ্মীরের সবচেয়ে দুঃখের সময়। শহরের সাহিত্য সম্মেলনে হাজির হয়ে রবিবার তিনি এ কথা বলেন। তাঁর কথায় "কাশ্মীরের বাসিন্দারা কোনও দিন সাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাস করতেন না । আর তাই সাম্প্রদায়িকতার বাড়বাড়ন্ত সব দিক থেকে দুর্ভাগ্যের। তবু আমি বলব কোনও ভাবেই হতাশ হবেন না"।
ভোটে হার নিশ্চিত জেনে এখন থেকেই ইভিএমের দিকে আঙুল তুলছে বিরোধীরাঃ মোদী
কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকেও নিশানা করেন ফারুক। তিনি আরও বলেন, "দেশের উন্নয়ন সম্পর্কে মানুষকে মনগড়া তথ্য দেওয়া হচ্ছে। মিথ্যা কথা রটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিনে নেওয়া হয়েছে সংবাদ মাধ্যমকেও। দেশের উন্নয়ন নিয়ে যে তথ্য দেওয়া হচ্ছে তা মিথ্যা এবং ভ্রান্ত। আর তাই এখন প্রার্থনার সময় উপস্থিত। আমাদের নিজেদের জন্য প্রার্থনার পাশাপাশি দেশের জন্য প্রার্থনা করতে হবে। আমাদের এমন এক দেশ তৈরি করতে হবে যেখানে সবাই শান্তি এবং সমৃদ্ধির মধ্যে বাঁচতে পারবে"।
ভোটে হার নিশ্চিত জেনে এখন থেকেই ইভিএমের দিকে আঙুল তুলছে বিরোধীরাঃ মোদী
বক্তব্যের একটি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও টেনে আনেন ফারুক। বলেন ২০১৫ সালে মোদী পাকিস্তানে গিয়ে নওয়াজ শরিফের সঙ্গে দেখা করেন। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। দুদেশের মধ্যে আলোচনা চালিয়ে নিয়ে যাওয়া একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। প্রতিনিয়ত আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে । মানে একদিন কথা হল তারপর আবার এক বছর বাদে আলোচনা হবে এটা চলতে পারে না । আর সবসময় যে দেশের প্রধানমন্ত্রীকেই আলোচনার সূত্রপাত করতে হবে তাও নয়। এ ব্যাপারে দুই দেশের সংসদকেও কাজে লাগানো যেতে পারে।