গৃহবন্দি করা হয় ফারুক আব্দুল্লাহকে, হরি নিবাসে আটক রাখা হয়েছে ওমরকে. (ফাইল)
হাইলাইটস
- ৫ অগাস্ট গ্রেফতার করা হয় ওমর আব্দুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতিকে
- বৃহস্পতিবার মুফতির সঙ্গে দেখা করেন তাঁর আত্মীয়রা; সূত্র
- হরি নিবাসে ২ বার তাঁর সঙ্গে দেখা করেন ওমরের আত্মীয়রা
শ্রীনগর: ন্যাশনাল কনফারেন্সের (National Conference) নেতা ওমর আবদুল্লাহ (Omar Abdullah) এবং পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (Peoples Democratic Party) প্রধান মেহবুবা মুফতিকে (Mehooba Mufti) গ্রেপ্তারের প্রায় এক মাস পরে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়েছে অবশেষে, গত ৫ অগাস্ট গ্রেফতার হয়েছিলেন তাঁরা, জানিয়েছে সূত্র। দু'জন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা (Jammu and Kashmir's special status) প্রদানকারী ৩৭০ ধারা (Article 370) প্রত্যাহার এবং দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে বিভক্ত করার সরকারি সিদ্ধান্তের আগে ‘সতর্কতামূলক ব্যবস্থা' হিসাবে হেফাজতে নেওয়া হয়। ওমর আবদুল্লাহর পরিবার এই সপ্তাহে দু'বার শ্রীনগরের হরি নিবাসে (Hari Niwas) তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন, কেন্দ্র সরকার জম্মু ও কাশ্মীর বিষয়ক পদক্ষেপের পরপরই আবদুল্লাহকে এখানে নিয়ে আসা হয়। সূত্রের খবর, তাঁর বোন সাফিয়া এবং তাঁর সন্তানদেরও শনিবার ২০ মিনিটের জন্য আবদুল্লাহর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রীয় পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ ওমর আবদুল্লার দল
বৃহস্পতিবার মেহবুবা মুফতির মা ও বোনকেও তাঁর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল বলে খবর। পিডিপি সভাপতি মুফতি চেসমাশাহীতে (Chesmashahi) পর্যটন বিভাগের একটি আবাসে রয়েছেন। ওই ভবন এখন সাব-জেল হিসাবেই ব্যবহার করা হচ্ছে। সোমবার ওমর আবদুল্লাহর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পাওয়ার আগে সাফিয়া এবং তার কাকীমা বেশ কয়েকবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। কর্মকর্তারা তাঁদের ফোনে যোগাযোগের অনুমতি দিলে তাঁরা ১২ অগাস্ট আবদুল্লাহ সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান।
ওমর আবদুল্লাহর বাবা এবং তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহকেও (Farooq Abdullah) গৃহবন্দী করা হয়েছে, তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের কোনও অনুমতিও দেওয়া হয়নি। সূত্র জানাচ্ছে, জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের দুই উর্ধ্বতন কর্মকর্তা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তিনবার তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন। তবে বারবার তাঁর ছেলের সাথে দেখা করতে চাওয়ার অনুরোধ করলেও তা অস্বীকার করা হয়।
"জন্তুর মতো খাঁচাবন্দি": অমিত শাহকে চিঠি লিখলেন মেহবুবা মুফতির মেয়ে
সূত্রের খবর, ওমর আবদুল্লাহ বা মেহবুবা মুফতির দু'জনেরই কারও কেবল চ্যানেলে সংবাদ দেখা এবং সংবাদপত্রের অভাবে খবর পড়ারও সুযোগ নেই। তবে, কর্মকর্তারা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের সিনেমা দেখার জন্য একটি ডিভিডি প্লেয়ার পাঠিয়েছেন। ৪৯ বছর বয়সী ন্যাশনাল কনফারেন্সের এই নেতা তাঁর কিন্ডল ট্যাবলেটে বই পড়েন এবং নিয়মিত হরি নিবাসের চত্বরে হাঁটেন।
যদিও কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, তাঁরা ধীরে ধীরে জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ শিথিল করছে তবে রাজনৈতিক নেতাদের শিগগিরই মুক্তি পাওয়ার কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। রাজ্যপাল সত্য পাল মালিক সম্প্রতি কৌতুক করে বলেন যে, বন্দি ওমর আবদুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতির পক্ষে বন্দি থাকাই উপকারী কারণ যখন তাঁরা বেরোবেন আরও বেশি ভোট পেতে পারবেন।