তাঁর স্মৃতিকথায় শিনা বোরা হত্যা মামলা নিয়ে বিস্ফোরক দাবি রাকেশ মারিয়ার
হাইলাইটস
- শিনা বোরা হত্যা মামলা প্রসঙ্গে রাকেশ মারিয়ার বিস্ফোরক দাবি
- দাবি নস্যাৎ করলেন আহমেদ জাভেদ
- স্মৃতিকথা ‘লেট মি সে ইট নাউ’-তে রাকেশ ওই দাবি করেন
মুম্বই: মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাকেশ মারিয়া (Rakesh Maria) শিনা বোরা হত্যা মামলা (Sheena Bora Murder Case) সম্পর্কে বিস্ফোরক দাবি করার পর তাঁকে পাল্টা আক্রমণ করলেন মুম্বইয়ের আর এক প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার আহমেদ জাভেদ। শিনা বোরা হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় ও তাঁর স্বামী পিটার মুখোপাধ্যায়। রাকেশের দাবি ছিল, পিটারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন আহমেদ জাভেদ। সেই দাবিকে নস্যাৎ করে জাভেদের পাল্টা দাবি, এই দাবির মধ্যে কোনও সত্যতা নেই। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ওই হত্যা মামলার মাঝপথে আচমকাই কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় রাকেশকে। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন জাভেদ।
শিনা বোরা হত্যা মামলায় মু্ম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাকেশ মারিয়ার চাঞ্চল্যকর দাবি
তাঁর স্মৃতিকথা ‘লেট মি সে ইট নাউ'-তে রাকেশ প্রশ্ন তোলেন তাঁর পরিবর্তে জাভেদকে কমিশনার করার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে। তিনি জানান, মন্ত্রালয়ের তরফে কেন দেখা হল না পিটার-ঘনিষ্ঠ কাউকে কমিশনার করলে তা কতটা বিপজ্জনক হতে পারে।
কাসভকে “ভারত মাতা কী জয়” বলতে জোর করা হয়েছিল, বইয়ে লিখলেন প্রাক্তন পুলিশকর্তা
NDTV-কে জাভেদ বলেন, ‘‘এটা অসম্পূর্ণ, মিথ্যাচার ও পরোক্ষ ইঙ্গিতের সেরা নমুনা। এটা সম্পূর্ণ অসত্য। বলা যায় বিভ্রান্তিকর।'' তিনি দাবি করেন, রাকেশের কাছ থেকে অন্তত এই বিষয়ে তিনি যথার্থতা আশা করেছিলেন।
রাকেশ মারিয়া দাবি করেছেন, জাভেদকে সেই সময় পুলিশ কমিশনার করার সিদ্ধান্ত ছিল স্বার্থের সংঘাত, কেননা তিনি পিটার মুখোপাদ্যায়ের পরিচিত।
প্রসঙ্গত, জাভেদ ও রাকেশ এই দুই সিনিয়র পুলিশ আধিকারিকের মধ্যে খুব একটা সুসম্পর্ক ছিল না। তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে তাঁকে কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে জাভেদকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করার পর রাকেশ দুঃখিত হয়েছিলেন।
তাঁর বইতে রাকেশ আর এক আধিকারিক দেবেন্দ্র ভারতীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।