জেনে নিন দশটি তথ্য
১ অমরিন্দরের মন্ত্রিসভার স্থানীয় মন্ত্রী নভজ্যোত সিধু। ওই বৈঠকে মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। গত মাসেও একটি বৈঠকে উপস্থিত হননি সিধু। সেই বৈঠকে বিধায়ক, মন্ত্রী এবং নবনিযুক্ত সাংসদরা উপস্থিত ছিলেন।
২ নির্বাচনের সময়ে সিধু-অমরিন্দর সংঘাত সামনে এসেছিল তাঁদের পারস্পরিক দোষারোপের কারণে। সিধুর অভিযোগ ছিল, অমরিন্দর তাঁর স্ত্রী নভজ্যোত কউরকে প্রার্থী হতে দেননি। এই কারণে ২০ দিনের জন্য অভিমান করে সিধু যোগাযোগ রাখেননি কারও সঙ্গে।
৩ ২৩ মে অমরিন্দর অভিযোগ করেন, শহর অঞ্চলে কংগ্রেস ব্যর্থ হয়েছে, কারণ সিধু নিজেকে সেভাবে তুলে ধরতে পারেননি। পাশাপাশি তিনি বলেন, গুরু গ্রন্থ সাহিব সম্পর্কে সিধুর মন্তব্যও বাথিন্ডায় দলের ফলাফল খারাপ হওয়ার পিছনে অন্যতম কারণ।
৪ আকালি দলের হরসিমরত কউর বাদল বাথিন্ডায় কংগ্রসের অমরিন্দর সিংহ রাজাকে ২১,৭৭২ ভোটে হারিয়ে দেন। তিনি নিজের জয়কে ‘কংগ্রেসের মুখে থাপ্পড়' বলে অভিহিত করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যে প্রচার' করেছিল কংগ্রেস।
৫ সিধু বলেন, রাজ্যে দলের খারাপ ফলাফলের জন্য তাঁকে একাই দায়ী করা হয়েছে। তিনি এও দাবি করেন, কেউ কেউ তাঁকে দল থেকেই বের করে দিতে চায়।
৬ পঞ্জাবে অবশ্য কংগ্রেসের ফল খুব খারাপ নয়। সেই রাজ্যের ১৩টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৮টিতেই কংগ্রেস জয়ী হয়। ২০১৪ সালে তারা জিতেছিল ৩টিতে।
৭ নির্বাচনের পর থেকেই শোনা যাচ্ছিল, মন্ত্রিসভায় সিধুর গুরুত্ব কমানো হতে পারে। সেই প্রসঙ্গে সিধু বলেন, ‘‘যদি আমি কোনও ভুল করে থাকি, তা একশো বার মেনে নিতে আমি রাজি।''
৮ ইমরান খানের শপথগ্রহণে যোগ দিতে সিধুর পাকিস্তানে যাওয়া নিয়ে দুই নেতার মধ্যে বাকবিতণ্ডা চরমে পোঁছয়।
৯ সেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়াকে সিধুর বিতর্কিত আলিঙ্গন নিয়েও সমালোচনা করেন অমরিন্দর সিংহ। তিনি বলেন, ‘‘কী করে এই ব্যাপারটা সহ্য করা যায়? বিশেষ করে আর্মি সেনার পক্ষে, যাঁরা পাকিস্থান-সমর্থিত উগ্রপন্থীরা হত্যা করেছে? '' নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরে অমরিন্দর বলেন, তিনি আগেই বলেছিলেন বাথিন্ডায় কংগ্রেসের হারের অনেক কারণের মধ্যে এটা অন্যতম কারণ।
১০ ২০১৭ সালে পঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে বিজেপি থেকে বেরিয়ে এসে কংগ্রেসে যোগ দেন সিধু। কংগ্রেসের জয়ের পরে সিধু আশা করেছিলেন উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদ তিনি পাবেন। কিন্তু তাঁকে সাধারণ মন্ত্রীর পদ দেওয়া হয়।
Post a comment