প্রাক্তন পাক রাষ্ট্রদূতের দাবি ওড়ালেন শোভা দে
নয়াদিল্লি: পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত আবদুল বসিতের (Abdul Basit) দাবি ওড়ালেন লেখিকা শোভা দে (Shobhaa De)। এক সাক্ষাৎকারে বসিত জানান, ২০১৬ সালে কাশ্মীর ইস্যুতে একটি নিবন্ধ লেখার বিষয়ে তিনি শোভা দে'কে (Shobhaa De) প্রভাবিত করেছিলেন। বসিতের এই দাবি খণ্ডণ করেন ভারতীয় লেখিকা। বসিত জানিয়েছেন, হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি বুরহান ওয়ানিকে (Hizbul Mujahideen terrorist Burhan Wani) গুলি করে হত্যা করার পরে শোভা দে (Shobhaa De) জম্মু-কাশ্মীরে "মতামতের পক্ষে ছিলেন"। জবাবে লেখিকা বলেন, ২০১৯সালের জানুয়ারিতে জয়পুর সাহিত্য উৎসব চলাকালীন প্রাক্তন পাক রাষ্ট্রদূত আবদুল বাসিতের (Abdul Basit) সঙ্গে অল্প সময়ের জন্য তাঁর একবারই সাক্ষাৎ হয়েছিল। তবে তাঁকে ওই স্থান ছাড়তে বলা হয়।
শোভা দের (Shobhaa De) কথায়, ‘একবারই দেখা হয়েছিল। হয়তো তিনিই এসে আলাপ করেন। বেশ কয়েকজন একসঙ্গে এসেছিলেন। তাদের সঙ্গেই তিনি ছিলেন উনি। সেখান থেকে এক প্রকার চলে যেতে বলা হয়।' তাঁর সংযোজন, ‘চিন (China) নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছিলেন বাসিত। সেটাই তাঁকে চলে যেতে বলার একমাত্র কারণ। সেটাই প্রথম ও শেষ সাক্ষাৎ তাঁর সঙ্গে আমার।'
২০১৬ সালে কাশ্মীরে বুরহান ওয়ানির (Burhan Wani) মৃত্যুর পর শোভা দে লেখেন, ‘বুরহান ওয়ানি ইজ ডেথ বাট হি উইল লিভ আনটিল উই ফাইন্ড আউট হোয়াট কাশ্মীর রিয়েলি ওয়ান্ট।' যা বাংলা করলে দাঁড়ায়, বুরহান ওয়ানি মারা গিয়েও ততক্ষণ জীবিত থাকবেন যতক্ষণ না জানা যাবে কাশ্মীর কী চায়।
বাসিতকে কটাক্ষ করে শোভা দে (Shobhaa De) জানিয়েছেন, ‘সত্য বিশ্বাসকারীদের পক্ষে এটা বিপদজনক, নোংরা ও অন্যায়। পুরো ঘটনায় আমি হতাশ। একজন এমন মানুষের সমন্ধে বলছেন যিনি গত ৪০ বছর ধরে নিষ্ঠা ও সৎ সাংবাদিকতার উপর তাঁর গোটা পেশাগত জীবন অতিবাহিক করেছেন।'