পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বালাকোটে (Balakot Air Strike ) আঘাত হানে ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF)। সেই স্ট্রাইকের পর্যালোচনা করে দেখা গিয়েছে বায়ুসেনার নিক্ষেপ করা বোমা ঈপ্সিত লক্ষ্যে আঘাত হানতে পেরেছে। পাশাপাশি ইজরায়েলের ক্রিস্টাল মেজের সাহায্যে গোটা ঘটনাটি লাইভ ভিডিও করাও সম্ভব ছিল কিন্তু তা করা যায়নি। বায়ু সেনা ভেবেছিল এই ভিডিও সাহায্যে সমস্ত ঘটনাটি রেকর্ড করা যাবে এবং স্ট্রাইক হয়ে যাওয়ার পর তা প্রকাশ্যে নিয়ে আসা যাবে। এই ভিডিও থেকেই বোঝা যাবে প্রকৃতই জইশ–ই- মহম্মদের ক্যাম্পে আঘাত হানা গিয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনা বাহিনীর মিরাজ ২০০০ বিমান পাঁচটি স্পাইস গ্লাইড ২০০০ বোমা নিক্ষেপ করতে সক্ষম হয়েছিল। বোমার আঘাতে কোনও বাড়ি ধ্বংস হয়নি কিন্তু বোমা নিক্ষেপ সঠিকভাবেই হয়েছিল আর তাতে কাজ হয়েছে।
‘স্পিড ব্রেকার দিদি'র পর মমতার এই নাম দিলেন মোদী
এই বোমা গুলি সেই প্রযুক্তি দিয়েই তৈরি করা হয়েছে। বায়ু সেনা সূত্রে বলা হয়েছে চারটি বিশেষ জায়গাকে নিশানা করা হয়েছিল। তার মধ্যে তিনটিতে বোমা নিক্ষেপ করা গিয়েছে। তিনটি বোমের সাহায্যে একটি জায়গায় আঘাত হানা হয়। বাকি দুটি জায়গায় আঘাত হানা হয় আর একটি বোমের সাহায্যে। কিন্তু নিজেদের সঙ্গে থাকা ক্রিস্টাল মেজকে ভিডিও রেকর্ডিংয়ের কাজে ব্যবহার করতে পারেনি বায়ুসেনা। তার কারণ যে স্পাইস গ্রাইন্ডার বোমা ব্যবহার করা হয়েছে তাতে রেকর্ডিংয়ের কোনও ব্যবস্থা নেই। আর সেই কারণেই স্ট্রাইকের সাফল্য জানতে স্যাটেলাইট ইমেজের উপর ভরসা রাখতে হয়েছে বায়ুসেনাকে। সেনার তরফে বলা হচ্ছে যে স্যাটেলাইট ইমেজ সংগ্রহ করা গিয়েছে তা পরবর্তী সময় জনসমক্ষে আনা হবে।