কুলদীপ সেঙ্গার! গত বছর অগাস্টে বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত করা হয় তাঁকে।
হাইলাইটস
- উন্নাও ধর্ষণের অপর একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত কুলদীপ সেঙ্গার
- প্রাক্তন এই বিজেপি নেতা ও তাঁর ভাইকে বুধবার দোষী সাব্যস্ত করে আদালত
- নির্যাতিতার বাবাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে এই রায় দিল্লির এক আদালতের
নয়া দিল্লি: উন্নাও ধর্ষণ-কাণ্ডে (Unnao Rape Case) নির্যাতিতার বাবার ওপর হামলার অভিযোগের মামলা। সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত প্রাক্তন বিজেপি নেতা কুলদীপ সেঙ্গার (Ex-BJP MLA Convicted)। এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ওই নেতার (Kuldeep Sengar) ভাই অতুল সিংকেও। এই দুজনের বিরুদ্ধে খুনের উদ্দেশ্য ছাড়া মৃত্যু ঘটানো; এই ধারায় মামলা দায়ের হয়েছিল। বুধবার দিল্লির একটি আদালত এই মামলার রায় দিতে গিয়ে বলেছে, "ওই ব্যক্তিকে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছিল। কিন্তু তার পিছনে খুনের উদ্দেশ্য ছিল না।এর আগে উন্নাও ধর্ষণ-কাণ্ডেও দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন কুলদীপ সেঙ্গার। এদিন এই মামলাকে নিজের কেরিয়ারের অন্যতম চ্যালেঞ্জিং মামলা দাবি করে বিচারক বলেছেন, এই মামলার তদন্তকারী দল সিবিআইয়ের ভুমিকা প্রশংসনীয়।
"ন্যায়বিচারের স্বার্থে" দিল্লি হিংসা-মামলার দ্রুত শুনানি হোক দিল্লি হাইকোর্টে: সুপ্রিম কোর্ট
উন্নাওয়ের এই ধর্ষণ-কাণ্ড আন্তর্জাতিক খবরের শিরোনাম হয়েছিল। নির্যাতিতা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন। ঠিক তার পরের দিন অস্ত্র আইনে গ্রেফতার করা হয় নির্যাতিতার বাবাকে। জেলবন্দি অবস্থায় তাঁর ওপর চলে হামলা। জেলেই মৃত্যু হয় তাঁর। যদিও ময়নাতদন্তে উল্লখ করা হয়েছিল, রক্তে সংক্রমণ হয়ে এই মৃত্যু। সেই সংক্রমণের চিহ্ন দেহের ১৪টি অঙ্গেও ছড়িয়েছিল। মৃত্যুর কয়েকঘণ্টা আগে পেটে যন্ত্রণা নিয়ে তাঁকে হসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু প্রাথমিক চিকিৎসা-র পর তাঁকে ফের জেলে ফেরত পাঠানো হয়। ফের জেলবন্দি হওয়ার আগে নিজের আততায়ীর নাম হিসেবে অতুল সিং সেঙ্গারের বিরুদ্ধে বয়ান দিয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা।
নির্ভয়া মামলার আসামি পবন গুপ্তার প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করলেন রাষ্ট্রপতি
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, নির্যাতিতার বাবা পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলে বলছেন, আমাকে যখন মারা হচ্ছিল পুলিশকর্মীরা পাশেই ছিল। কিন্তু কেউ কিছু করেনি। অতুল সিং, ওই বিধায়কের ভাই আমাকে মাটিতে ফেলে মারছিলেন, কিন্তু আমাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেনি।গত বছর অগাস্টে কুলীপ সেঙ্গারের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের সময় বিচারক বলেছিলেন, এটা বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যাতে আইনি লড়াই না লড়তে পারে নির্যাতিতার বাবা, তাই তাঁকে এভাবে চুপ করিয়ে দেওয়া হল। এই মামলায় অভিযুক্ত তিন পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধেও চার্জ গঠন হয়েছে।