বহির্বিশ্বের সঙ্গে গত ষাট হাজার বছর ধরে কোনও যোগাযোগ রাখেননি সেন্টিনেল দ্বীপের বাসিন্দারা।
হাইলাইটস
- তাঁর দেহের খোঁজ এখনও পায়নি প্রশাসন
- সেন্টিনেল দ্বীপে হেলিকপ্টার নামানোই যাচ্ছে না
- ওই দ্বীপের আদিবাসীদের হাতেই প্রাণ গিয়েছে মার্কিন নাগরিকের
নিউ দিল্লি: উত্তর সেন্টিনেল দ্বীপে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে এক মার্কিন পর্যটকের। তাঁর দেহের খোঁজ এখনও পায়নি প্রশাসন। সেন্টিনেল দ্বীপে হেলিকপ্টার নামানোই যাচ্ছে না। ওই দ্বীপের আদিবাসীদের হাতেই প্রাণ গিয়েছে মার্কিন নাগরিকের। কিন্তু আদিবাসীদের মানবাধিকার রক্ষা করতে কাজ করে চলা বিশেষজ্ঞদের অভিমত দেহের খোঁজ করা বন্ধ করে দেওয়া দরকার। আন্তর্জাতিক স্তরের বিশেষজ্ঞদের অনুমান এই তল্লাশি অভিযানের ফল মারাত্মক হতে পারে। বহির্বিশ্বের সঙ্গে গত ষাট হাজার বছর ধরে কোনও যোগাযোগ রাখেননি সেন্টিনেল দ্বীপের বাসিন্দারা। কিন্তু এখন সেই যোগাযোগ হচ্ছে। আর এটা থেকেই মারাত্মক বিপদের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শেষবার উত্তর সেন্টিনেল দ্বীপে যাওয়ার আগে রাতে মৃত্যু ভয় গ্রাস করেছিল মার্কিন পর্যটককে
যোগাযগের ফলে ওই দ্বীপে জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা থাকছে। সামান্য কোনও জীবাণু থেকেই ভয়ানক কোনও বিপদ ঘটে যেতে পারে। ভারতীয় বিশেষজ্ঞদেরও মনে হচ্ছে তল্লাশি অভিযান বন্ধ হয়ে যাওয়া উচিত। তাঁদের আরও মনে হয় আদিবাসীরা যখন বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চায় না তখন সেই সিদ্ধান্তকে সম্মান করা উচিত।
আদিবাসীদের তীরে আহত হয়েও হাঁটছিলেন যুবক, মার্কিন পর্যটকের মৃত্যুর নয়া তথ্য, গ্রেফতার সাত
লেখক পঙ্কজ সেখসারিয়া , বিশ্বজিৎ পন্ডিত, মণিশ চন্ডি, মধুশ্রী মুখোপাধ্যায় এবং সীতা ভেঙ্কটেশ্বর একটি বিবৃতিতে দাবি করেছেন তল্লাশি অভিযান চালিয়ে গেলে প্রাণহানীর আশঙ্কা আরও বাড়বে। তাঁরা মনে করেন সেন্টিনেল দ্বীপের বাসিন্দাদের মনোভাবকে সম্মান করা উচিত। পরিস্থিতিকে আরও উদ্বেগজনক করে তোলার কোনও মানে হয় না।
সেন্টিনেল দ্বীপে প্রাণ হারিয়েছেন মার্কিন নাগরিক, সেখানকার আদিবাসীদের সম্পর্কে দশটি তথ্য রইল
সাবধানতা অবলম্বন করেছে পুলিশও। আদিবাসীদের আচরণ ভাল করে বোঝেন এমন মানুষদের নিয়েই চলছে তল্লাশি অভিযান। আদিবাসীদের সঙ্গে কোনও রকম সংঘাতে যেতে রাজি নয় তদন্তকারীরা।