2015 সালে 33,000 এরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন এই সুপারবাগের আক্রমণে .
প্যারিস: ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় লক্ষ লক্ষ মানুষ সুপারবাগ সংক্রমণে মারা যেতে পারেন যদি না এই দেশগুলি সবচেয়ে পরিচিত ওষুধগুলিতে অপ্রতিরোধ্য ব্যাকটেরিয়ার মোকাবিলাতে ব্যবস্থা নেন, বুধবার জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা (ওইসিডি) জনস্বাস্থ্যের পরিষেবার "ক্ষতিকর পরিণতি" সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছে। যতক্ষণ না হাসপাতালের মৌলিক স্বাস্থ্যবিধি বাড়ানো হয় এবং অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার হ্রাস পায় ততক্ষণ এই ব্যাকটেরিয়ার কবল থেকে মুক্তি পাওয়া দুরূহ।
2015 সালে ইউরোপে 33,000 এরও বেশি মানুষ মারা যান ড্রাগ-প্রতিরোধী এই ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে। একটি প্রতিবেদনে ওইসিডি জানায়, 2050 সালের মধ্যে 2.4 বিলিয়ন মানুষ সুপারবাগ আক্রমণ দ্বারা মারা যেতে পারে এবং এই সংক্রমণের চিকিৎসার খরচ প্রতিটি দেশে গড়ে 3.5 বিলিয়ন ডলার (তিন বিলিয়ন ইউরো) পর্যন্ত হতে পারে।
OECDর পক্ষ থেকে মিশেল সেচিনি এএফপিকে জানান যে, দেশগুলি ইতিমধ্যেই অ্যান্টিমাইকোবিয়াল-প্রতিরোধী (এএমআর) বাগদের চিকিৎসার জন্য তাদের স্বাস্থ্যসেবা বাজেটের গড় 10 শতাংশ খরচ করে চলেছে। তিনি বলেন, "এএমআর টিউবারকোলোসিস, এইচআইভি এবং ফ্লু-এর থেকে বেশি খরচ করায়। এই সমস্যার মোকাবিলা করতে দেশগুলি পদক্ষেপ না নিলে আরও খরচ বাড়বে"।
মানুষ বড্ড বেশি অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করে- প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমে বা কৃষি ও গৃহপালিত পণ্যগুলির মাধ্যমে যাতে সংক্রমণ বন্ধ করতে ওষুধ দেওয়া হয়। এই ব্যাকটেরিয়ার তাদের হত্যা করার জন্য প্রস্তুত করা ওষুধগুলিকে আর প্রভাবিত হয় না। নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশে, প্রতিরোধের মাত্রা বেশি: ইন্দোনেশিয়া ব্রাজিল এবং রাশিয়ার ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের 60 শতাংশই অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী। বর্তমানের তুলনায় 2030 সালের মধ্যে দ্রুত চার থেকে সাত গুণ বৃদ্ধি পেতে পারে এএমআর সংক্রমণ। প্রধানত নবজাতক, খুব ছোট শিশু এবং বয়স্করা মারা যেতে পারে এই আক্রমণে। এমনকি রান্নাঘরে ছোটখাতো কেটে যাওয়া, ক্ষুদ্র সার্জারি বা নিউমোনিয়া রোগগুলিই জীবনঘাতী হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে জনস্বাস্থ্য বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার জন্য এই সংস্থাটি বলেছে, বিপর্যয়কে রোধ করার একমাত্র উপায় হলো অবিলম্বে আচরণের ক্ষেত্রে সেক্টর-ওয়াইড পরিবর্তন বাস্তবায়ন করা। হাসপাতালের সকল ক্লিনিকের মান নিশ্চিত করতে এবং ক্লিনিকের কর্মীদের তাদের হাত ধুয়ে এবং কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার সাথে সামঞ্জস্য রেখে চলতে বলা হয়েছে। সংক্রমণ ভাইরাল কিনা তা নির্ধারণ ও প্রতিরোধের আরও ভালো এবং দ্রুত পরীক্ষার ব্যবস্থাও আছে।
সেচিনি রোগীদের অ্যান্টিবায়োটিক বাছাই করার আগে তিনদিন অপেক্ষা করাতে পরামর্শ দেন। "বিলম্বিত প্রেসক্রিপশন" ধারণাটি এ বিষয়ে কার্যকরী। একটি ভাইরাল সংক্রমণ শুরু হতে বেশ কিছুটা সময় লাগে। এই পদ্ধতির পরীক্ষায়, দুই তৃতীয়াংশ রোগী প্রদত্ত অ্যান্টিবায়োটিকের বিলম্বিত প্রেসক্রিপশন মেনে তাদের ওষুধ সংগ্রহ করেন নি।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)