Lucknow Bomb Blast: বৃহস্পতিবার লখনউয়ের একটি আদালতে বিস্ফোরণ ঘিরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়
হাইলাইটস
- লখনউ আদালতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য
- বোমার আঘাতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২ জন আইনজীবী
- ঘটনার পর আদালত চত্বরে ওই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান আইনজীবীরা
লখনউ: লখনউ আদালত চত্বরে বোমা বিস্ফোরণের (Lucknow Explosion) ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল। জানা গেছে, আদালতের আইনজীবীদের বসার ঘর লক্ষ্য করেই ওই দেশি বোমাটি ছোঁড়া হয় যাতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২ জন আইনজীবী। প্রাথমিকভাবে খবর মিলেছে যে, লখনউ বার অ্যাসোসিয়েশনের একজন প্রবীণ আইনজীবীর উপর হামলা করতেও ওই বোমাটি (Lucknow Court Explosion) ছোঁড়া হয়। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের দেওয়া তথ্য অনুসারে, হজরতগঞ্জের লখনউ দেওয়ানি আদালতের (Bomb Blast At Lucknow Court) সামনে জেলাশাসকের অফিস চত্বরের মধ্যেই ওই বিস্ফোরণটি ঘটে। বিস্ফোরণের (Lucknow Bomb Blast) পরে ওই অঞ্চল থেকে কমপক্ষে তিনটি দেশি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
লখনউ বার অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক সঞ্জীব লোধিকে নিশানা করে ওই বোমা ছোঁড়া হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে দাবি করা হয়েছে ওই আইনজীবীর পক্ষ থেকে। এই ঘটনার নেপথ্যে জিতু যাদব নামে অন্য এক আইনজীবীর হাত রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
দলের ওয়েবসাইটে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে থাকা ফৌজদারি মামলার বিবরণ দিতে হবে : সুপ্রিম কোর্ট
এই ঘটনার পর আদালত চত্বরে বিক্ষোভ দেখান বেশ কয়েকজন আইনজীবী, ওই অঞ্চলে কোনও সুরক্ষা ব্যবস্থা নেই বলে অভিযোগ তাঁদের।
"এই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা (যারা ওই দেশি বোমা ছুঁড়েছিল) কীভাবে আদালত চত্বরে প্রবেশ করতে পারে? এই ঘটনায় সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আমার কয়েকজন সহযোগী আহত হয়েছেন। আমি কোনওরকমে পালিয়ে বেঁচেছি", বলেন সঞ্জীব লোধি।
Jammu And Kashmir Panchayat Bypolls: বিশেষ মর্যাদা রদের ৭ মাস পর মার্চে জম্মু ও কাশ্মীরে উপনির্বাচন
"এই ঘটনার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, না হলে এই ধরণের ঘটনা আবার ঘটতে পারে", একথাও বলেন তিনি। ওই আইনজীবীর পাশে জড়ো হওয়া অন্যান্য আইনজীবীরা স্লোগান দেন "আইনজীবীদের ঐক্য দীর্ঘজীবী হোক"।
বোমা বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গেছেন পুলিশ ও বম্ব স্কোয়াডের আধিকারিকরা। পুলিশ কুকুর দিয়ে বিস্ফোরণস্থল পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
লখনউয়ে আইনজীবীদের উপর একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটছে। গত মাসেই, রাজ্য জুড়ে তাঁদের উপর হামলার ঘটনা বাড়ার বিষয়ে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ করেন বুদ্ধিজীবীরা। উত্তরপ্রদেশের বার কাউন্সিলের তরফ থেকে বার অ্যাসোসিয়েশনগুলিকে এই প্রতিবাদে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারকে আইনজীবীদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্যে একটি বিশেষ আইন পাস করার প্রতিও আহ্বান জানানো হয়।
গত ৭ জানুয়ারি এই লখনউতেই ৩২ বছর বয়সী আইনজীবী শেখর ত্রিপাঠিকে পাঁচজন দুষ্কৃতি লাঠিপেটা করে মেরে ফেলে। এই ঘটনার পর তাঁর সহকর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। জেলা কালেক্টরেটে কার্যালয়ের বাইরে এ নিয়ে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা।
এই ঘটনার আগে ১৭ ডিসেম্বর, বিজনৌরের একটি আদালতে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা গুলি চালালে একজন ব্যক্তি মারা যান এবং দু'জন পুলিশ কর্মী আহত হন।