যে প্রত্যক্ষদর্শী মোবাইলে ওই ভিডিও তুলেছিলেন, তাঁকে আদালতে ডাকা হয়নি
হাইলাইটস
- যে প্রত্যক্ষদর্শী ভিডিও তুলেছিলেন তাঁকে আদালতে ডাকা হয়নি
- NDTV-র তোলা স্টিং ভিডিওয় এক অভিযুক্তকে অপরাধের কথা বলতে দেখা যায়
- পুলিশের পেশ করা ওই ভিডিও প্রমাণ হিসেবে গ্রাহ্য করেনি আদালত
নয়াদিল্লি: দু'বছর আগে উন্মত্ত জনতার হাতে মৃত্যু হয়েছিল পশু ব্যবসায়ী পেহলু খানের (Pehlu Khan)। বুধবার রাজস্থানের (Rajasthan) আদালতে ছাড়া পেল মামলার অভিযুক্ত ৬ জন। একটি ভিডিওয় তাদের দেখা গিয়েছিল ওই গণপিটুনিতে (Lynching) অংশ নিতে। এদিন বিচারক জানান, মোবাইল ফোনের ওই ভিডিও যা দেখে পুলিশ অভিযুক্তদের সনাক্ত এবং গ্রেফতার করেছে তাকে প্রমাণ হিসেবে ধরা যাবে না। NDTV-র যে স্টিং ভিডিওয় অন্যতম এক অভিযুক্তকে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে সেটিকেও প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। আলওয়ারের ট্রায়াল কোর্টে অভিযুক্তদের আইনজীবী হুকুমচাঁদ শর্মা দাবি করেন, মোবাইলে তোলা ভিডিওটি ততটা পরিষ্কার নয় যার দ্বারা অভিযুক্তকে নিশ্চিতভাবে সনাক্ত করা যায়। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের সূত্রানুসারে জানা যাচ্ছে, আইনজীবী বলেন, ওই ভিডিওকে ফরেনসিক ল্যাবেও পাঠানো হয়নি। ভিডিওটি যিনি তুলেছিলেন তাঁকেও আদালতে ডাকা হয়নি।
Alwar Lynching: পেহলু খানকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় ৬ অভিযুক্তের মুক্তি
গত বছরের আগস্টে অন্যতম অভিযুক্ত বিপিন যাদবকে NDTV-এর স্টিং ভিডিওয় বলতে দেখা গিয়েছিল, কীভাবে সে ওই গণপ্রহারকে নেতৃত্ব দিয়েছিল। সে বলে, তারা প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে পেহলু খানকে মারধর করেছিল।
ওই ভিডিও দেখার পরে হাইকোর্ট রাজ্য পুলিশের করা বিপিনের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে দেয়।
২০১৭ সালের এপ্রিলে পেহলু খান ও তাঁর ছেলে হরিয়ানার গ্রামে ফিরছিলেন। তাঁদের সঙ্গে ছিল জয়পুরের মেলা থেকে কেনা গবাদি পশুর মাংস। জয়পুর-দিল্লি হাইওয়েতে তাঁদের ট্রাকটি আটকায় গো-রক্ষকের এক দল। টেনে নামানো হয় ৫৫ বছরের পেহলুকে। শুরু হয় মারধর। পরে হাসপাতালে মারা যান পেহলু। এক প্রত্যক্ষদর্শীর তোলা ভিডিওয় দেখা গিয়েছিল কীভাব নৃশংস অত্যাচার করা হয়েছিল পেহলুর উপরে।
ওই হত্যা মামলায় ন'জনকে অভিযুক্ত করা হয়। এদের মধ্যে তিনজন নাবালক। বাকি ছ'জনকেও প্রমাণের অভাবে খালাস করে দেওয়া হল বুধবার।
আদালতের এই রায় বেরনোর দু'মাস আগে মার্কিন এক রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ধর্মীয় প্রতিহিংসা বিজেপি সরকারের আমলে বৃদ্ধি পেয়েছে।