This Article is From Jul 03, 2018

দিল্লির ভাটিয়া পরিবারের 11 জন মৃত সদস্যের চক্ষু দান করে দেওয়া হল

মৃতদের চোখগুলি গুরু নানক আই সেন্টারে দান করে দেওয়া হয়।

দিল্লির ভাটিয়া পরিবারের 11 জন মৃত সদস্যের চক্ষু দান করে দেওয়া হল

ভাটিয়া পরিবারের তিন প্রজন্মের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় তাদের বাড়ি থেকে

নিউ দিল্লি:

উত্তর দিল্লির বুরারিতে একই পরিবারের 11 জনের মৃতদেহ রোববার সকালে উদ্ধার করার পর তাদের চোখগুলো সোমবার একটি আই ব্যাঙ্কে দান করে দেওয়া হল।

মৃতদের চোখগুলি গুরু নানক আই সেন্টারে দান করে দেওয়া হয়। মৃতদের চোখ দান করা নিয়ে সম্মতি দেন ওই পরিবারের বাকি সদস্যরা। তাঁরা জানান, ভাটিয়া পরিবারের সব সদস্যই অপরকে সাহায্যের জন্য মুখিয়ে থাকত সবসময়। তাদের কাছে সাহায্য চেয়ে কেউ কখনও ফিরে যায়নি।

“এই পরিবারের সব সদস্যই ভীষণ উপকারী মানুষ ছিলেন। তাঁদের চোখ আই ব্যাঙ্কে গেলে তাঁরা পরোক্ষভাবে অন্তত 22 জনকে সাহায্য করতে পারবে। কারণ, এক জোড়া চোখ থেকে দুজন মানুষ দৃষ্টি ফিরে পেতে পারে”, সোমবার ওই পরিবারের এক আত্মীয় সাংবাদিকদের এই কথা জানান।

দিল্লির বুরারির এই পরিবারের 11 জন সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে তদন্ত যতই এগোচ্ছে, ততই হাড় হিম করা তথ্য জানতে পারছে পুলিশ।

ভাটিয়া পরিবারের তিন প্রজন্মের মৃতদেহ প্রথম আবিষ্কার করেন তাঁদেরই এক প্রতিবেশি। রবিবার সকালে ভাটিয়াদের পারিবারিক মুদির দোকানটি বন্ধ দেখে সন্দেহ হয় তাঁর।

মৃত্যুর ক্রম এখনও জানতে পারেনি পুলিশ। খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এই ভয়াবহ মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে অতিপ্রাকৃত তত্ত্বের যোগ থাকার ইঙ্গিত পেয়েছে পুলিশ একটি হাতে লেখা নোট থেকে।

পরিবারের বর্ষীয়ান সদস্য 77 বছরের নারায়ণ দেবীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় ঘরের মেঝে থেকে।

নারায়ণ দেবীর কন্যা প্রতিভা (57), দুই পুত্র ভবনেশ ভাটিয়া (50) ও ললিত ভাটিয়া (45) সহ পরিবারের বাকি 10 জনের মৃতদেহ ছাদের গ্রিল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

ভবনেশের স্ত্রী সবিতা (48) এবং তাঁর তিন সন্তান মিনু (23), নীতু (25) এবং ধ্রুব (15)-এর দেহ উদ্ধার করা হয় ঝুলন্ত অবস্থায়। ললিত ভাটিয়ার স্ত্রী টিনা (42) এবং তাঁদের পুত্র শিবম (15)-এর দেহ উদ্ধার করা হয় একই অবস্থায়।

.