This Article is From Feb 28, 2020

নবীন পট্টনায়েকের খাবার টেবিলে মুখোমুখি মধ্যাহ্নভোজ সারলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত শাহ!

শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েককে একসঙ্গেই এক টেবিলে খেতে দেখা গিয়েছে।

নবীন পট্টনায়েকের খাবার টেবিলে মুখোমুখি মধ্যাহ্নভোজ সারলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত শাহ!

Eastern Zonal Council-এর বৈঠকের পরে মধ্যাহ্নভোজে এক টেবিলেই মমতা-অমিত-নবীন

হাইলাইটস

  • যুযুধান নেতাকে দুই বিরোধীকেই এক টেবিলে বসে পেটপুজো সারতে দেখা গেল
  • মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অমিত শাহ ইজেডসি-র সভায় যোগ দিতে ভুবনেশ্বরে যান
  • স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পরে উড়িষ্যায় এই প্রথম সফর অমিত শাহের
নয়াদিল্লি:

প্রকাশ্যে দু'জনেই ‘তু-তু ম্যায় ম্যায়'! একে অপরকে ছেড়ে কথা বলার প্রশ্নই ওঠে না। কিন্তু খাবার টেবিলে? খুব কমই একে অপরকে ভালো কথা বলতে শোনা যায় যে দুই যুযুধান নেতাকে সেই দুই বিরোধীকেই এক টেবিলে বসে পেটপুজো সারতে দেখা গেল। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Union Home Minister Amit Shah) এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (West Bengal Chief Minister Mamata Banerjee), উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েককে (Odisha Chief Minister Naveen Patnaik) একসঙ্গেই এক টেবিলে খেতে দেখা গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অমিত শাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে পূর্বদিকের রাজ্যগুলির ফোরাম ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিলের (Eastern Zonal Council) একটি সভায় যোগ দিতে ভুবনেশ্বরে গিয়েছিলেন। নবীন পট্টনায়েক এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন অবশ্য এই বৈঠকে ছিলেন না। ইজেডিসির ভাইস চেয়ারম্যান এবং এর চব্বিশতম বৈঠকের আয়োজক নবীন পট্টনায়েক তাঁর বাড়িতে নেতাদের একসঙ্গে বসে খাওয়ার একটি ছবি টুইট করেছেন।

সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবরে বলা হয়েছে, EZC-র বৈঠকে কয়লা-রয়্যালটি পুনর্বিবেচনা, অপরাধ ও রেল-সংযোগ প্রকল্পের মতো বিষয়গুলি ছাড়াও বামপন্থী উগ্রবাদ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পরে উড়িষ্যায় এই প্রথম সফর অমিত শাহের। তিনি বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) সমর্থনে একটি জনসভায়ও বক্তব্য রাখেন।

দেশে মারাত্মক বিক্ষোভ সৃষ্টিকারী এই আইন সাম্প্রতিক সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে বিরোধের মূল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিএএ-র অন্যতম তীব্র সমালোচক। অমিত শাহ নিজেই সংসদে এই আইন প্রবর্তন করেন এবং পশ্চিমবঙ্গে এই আইন কার্যকরী না হতে দেওয়ার শপথ নেন মমতা।

তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো সিএএকে গভীরভাবে বিভেদমূলক ও বৈষম্যমূলক বলেই মনে করেন। ধর্মকে এই প্রথমবার ভারতীয় জাতীয়তার পরীক্ষার মাপকাঠি করা হয়েছে। সরকারের দাবি সিএএ পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আসা অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ সহজ করে তুলবে।

অমিত শাহ এবং কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বারেবারে মানুষকে জানাতে চেয়েছেন যে এই আইনটি কেবল প্রতিবেশী দেশগুলিতে যারা ধর্মীয় নিপীড়নের মুখোমুখি হয়েছেন তাদের সাহায্য করতেই তৈরি।

তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ যে, প্রস্তাবিত ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনের (এনআরসি) সঙ্গে মিলে সিএএ কেবলমাত্র মুসলিমদেরই লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে দেশছাড়া করবে যাদের নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় দলিল নেই।

গতবছর কলকাতায় একটি সমাবেশে অমিত শাহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে তুলোধোনা করে বলেছিলেন যে কেন্দ্র সারা দেশে এনআরসি বাস্তবায়িত করবে এবং “তৃণমূল কংগ্রেস যতই বিরোধিতা করুক না কেন, বিজেপি এমনটা করেই ছাড়বে।”

.