This Article is From Apr 26, 2019

আত্মহত্যা করলেন ঢাকার রানা প্লাজা দুর্ঘটনার 'নায়ক' হিমু

তাঁর আত্মীয়রা জানাচ্ছেন, ওই ঘটনার পর থেকে নৌশাদ ক্রমশ ডুবে যাচ্ছিলেন বিষাদে। কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চাইতেন না তেমন। নিজের মধ্যে গুটিয়ে থাকতেন।

Advertisement
ওয়ার্ল্ড

রানা প্লাজা ভবন ভেঙে প্রায় ১১৩৪ জন মানুষ মারা যান। (ছবি প্রতীকী)

ঢাকা:

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল ভেঙে পড়েছিল ঢাকার বিখ্যাত আটতলা ভবন- রানা প্লাজা(Rana Plaza)। টানা ১৯ দিন ধরে উদ্ধারকার্য চালানোর পর সমস্ত নিহত এবং আহতদের সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় সরকারি হিসেব অনুযায়ী নিহত হন ১১৩৪ জন। আহত হন আড়াই হাজারেরও বেশি মানুষ। মৃতদের সংখ্যা বাড়তে পারত আরও অনেক বেশি। কিন্তু ওই উদ্ধারকার্যে হাত লাগিয়ে ধ্বংসস্তূপ থেকে বহু মানুষকে বের করে এনেছিলেন যিনি, তিনি বাংলাদেশের একজন সমাজকর্মূ। নাম- নৌশাদ হাসান হিমু। তখন তাঁর বয়স ছিল ২১ বছর। এখন ২৭। এই ২৭ বছরের হিমুই বুধবার রাতে নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন। তাঁর দেহটি সুরাবর্দি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

এখন গড় কিন্তু কবে প্রথম বহরমপুরে জেতে কংগ্রেস?

তাঁর আত্মীয়রা জানাচ্ছেন, ওই ঘটনার পর থেকে নৌশাদ ক্রমশ ডুবে যাচ্ছিলেন বিষাদে। কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চাইতেন না তেমন। নিজের মধ্যে গুটিয়ে থাকতেন। আর বন্ধুত্ব করে চলতেন একের পর এক প্রাণীর সঙ্গে। বিশেষ করে রাস্তার কুকুরদের সঙ্গে।

Advertisement

তাঁর মা আফরোজা বেগম বলছিলেন, “আমাকে বুধবার দিন অনেকবার ফোন করেছিল ও। এটা ঠিক স্বাভাবিক নয়। কারণ, ও এতবার ফোন করত না ঘনঘন। ও গায়ে আগুন লাগানোর মিনিটখানেক আগেই আমার সঙ্গে কথা বলে ফোনটা রাখে। আমি খবরটা পাওয়ার পরেই হাসপাতালে দৌড়ে যাই”।

দুই পড়শি দেশের মধ্যে এবার বিলাসবহুল ক্রুজ সফর শুরু হচ্ছে শুক্রবার থেকে

Advertisement

২৪ এপ্রিল ২০১৩ সালে ভেঙে পড়েছিল রানা প্লাজা। ২৪ এপ্রিল ২০১৯ সালে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। রানা প্লাজার ভয়াবহ ঘটনার ঠিক ৬ বছর বাদে। তাঁর নামের শেষে ‘হিমু' লিখতেন নৌশাদ হাসান। হিমু, যারা নিজেদের পৃথিবীতে থাকতে থাকতে, নিজেদের মতো থাকতে থাকতেই সেই পৃথিবীরই অন্য একটি স্থানে হারিয়ে যায়।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
Advertisement