বাংলাদেশে ভোটের ঠিক আগে একের পর এক প্রোফাইল ও পেজ ডিলিট করে দিল Facebook ও Twitter। এই প্রোফাইল ও পেজগুলি থেকে ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ।
প্রতিবেশী দেশের সবথেকে জনপ্রিয় সোশ্যাল নেটওয়ার্ক Facebook। বাংলাদেশে প্রায় 3 কোটি মানুষ Facebook ব্যবহার করেন। ভোটের ঠিক আগে বাংলাদেশের 9 টি পেজ ডিলিট করে দিয়েছে Facebook। এই পেজগুলি থেকে সরকারের লোকজন ভুয়ো খবর প্রচার করছিলেন।
এছাড়াও ভোটের ঠিক আগে বেআইনি কাজ করার জন্য ছয়টি অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দিয়েছে Facebook। এর মধ্যে একটি অ্যাকাউন্টে 11,900 জন ফলোয়ার ছিলেন।
“Facebook –এ এই ধরনের কাজ করা যাবে না। মানুষকে ভুল বোঝানোর কাজে কোন ভাবেই Facebook ব্যবহার করা যাবে না।” এক বিবৃতিতে জানিয়েছে Facebook।
অন্য জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম Twitter জানিয়েছে বাংলাদেশে 15 টি এমন অ্যাকাউন্ট খুঁজে পাওয়া গিয়েছে যে অ্যাকাউন্টগুলি থেকে ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে।
“প্রাথমিক অনুসন্ধানের পরে জানা গিয়েছে সরকারের মদতে এই কাজ করা হচ্ছে।” এক বিবৃতিতে জানিয়েছে Twitter।
সারা বিশ্বে জনমতকে ভুল অভিযোগ উঠেছে Facebook ও Twitter এর বিরুদ্ধে। তাই ভোটের ঠিক আগে একাধিক ভুয়ো অ্যাকাউন্ট ও পেজ ডিলিট করে অপবাদ মুছে ফেলার সব চেষ্টা করছে এই দুই জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।
তবে ফেসবুকের এই বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে মন্তব্যে বিরত থেকেছেন বাংলাদেশ ব্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটেলিয়ানের মুখপাত্র মুফতি মহমদ খান।
তিনি বলেন, “সম্প্রতি তার দল 30 জনকে গ্রাপ্তার করেছে। সবাই বিরোধীদের সাথে হাত মিলিয়ে সরকারের বিরূদ্ধে অপপ্রচার করছিলেন।”
টানা তিনবার ক্ষমতায় আসার লক্ষ্যে ভোটে নেমেছে শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগ। গত সপ্তাহে বিরোধীরা অভিযোগ করেছিল ইতিমধ্যেই শাসক দলের আক্রমণে 1,500 বিরোধী কর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়াও গ্রেপ্তার করা হয়েছে 14 জন বিরোধী প্রার্থীকে।
গত এক দশকে হাসিনার শাষনে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকারের সমালোচনা করার জন্য একজন জনপ্রিয় ফোটোগ্রাফার সহ একাধিক ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাংলাদেশে ডিজিটাল পরিকাঠামো উন্নতিতে বড় ভুমিকা নিয়েছিল হাসিনার সরকার। সেই দেশে ইন্টারনেটের দাম কমলেও সরকারের কড়া নজদারির অধীনে ইন্টারনেট ব্যবনহার করতে হয় বাংলাদেশের নাগরিকদের।