Read in English
This Article is From Aug 15, 2019

গোমাংস নিয়ে দু’বছর আগের ডিলিট পোস্ট ঘিরে বিতর্কে গুয়াহাটির মহিলা গবেষক

ভারত পাকিস্তানের ম্যাচ চলাকালীন বিরাট কোহলি শূন্যে আউট হয়ে যান। ক্রিকেট অনুরাগী হিসাবে সেই হতাশা থেকেই ওই পোস্টটি করা। পরে সেটি ডিলিট করি।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by
গুয়াহাটি, অসম:

‘পাকিস্তানের (Pakistan) জয়ে আজ গোমাংস খাচ্ছি। আমার স্বাদ-কোরকের উপর নির্ভর করবে আমি কী খাবো। বিতর্ক তৈরি করবেন না, বা বিফ নিয়ে আপনাদের কোনও মতামত দেবেন না।' বছর দুয়েক আগে করা এই পোস্টই (Facebook post) জ্বলজ্বল করছিল গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের (Gauhati University)  গবেষক (research scholar) রেহনা সুলতানার (Rehna Sultana) ফেসবুকে। যাকে কেন্দ্র করেই বিপত্তি। পাকিস্তানকে সমর্থন ও গোমাংস খেতে উৎসাহিত করার অভিযোগ অসম পুলিশ (Assam Police ) রেহনার বিরুদ্ধে এফাইআর দায়ের করে। রেহানার অবশ্য দাবি ওই পোস্টটির (Facebook post) ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তা মুছে ফেলা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের (Gauhati University) গবেষক। পরে অবশ্য নিজের ভুল স্বীকারও করে নেয় সে।

স্থানীয় একটি নিউজ ওয়েব পোর্টাল রেহনা সুলতানার (Rehna Sultana) পোস্টকে কেন্দ্র করে খবর করে গত বুধবার। তারপরই তথ্যপ্রযুক্তি আইনে ওই গবেষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। নিউজ পোর্টালে প্রকাশ, ঈদ উপলক্ষে পোস্টটি করেছিলেন রেহনা। যদিও তা অস্বীকার করেছেন তিনি।

এনডিটিভি-কে (NDTV)  অভিযুক্ত রেহনা সুলতানার ব্যাখ্যা, ‘২০১৭ সালের জুনে ভারত পাকিস্তানের ম্যাচ চলাকালীন বিরাট কোহলি শূন্য রানে আউট হয়ে যান। ক্রিকেট অনুরাগী হিসাবে সেই হতাশা থেকেই ওই পোস্টটি করা।' তবে পরক্ষণেই ভুল বুঝতে পারেন তিনি। বলেন, ‘আমার ওই পোস্ট করা উচিত ছিল না। ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে। তাই পোস্টের পরেই সেটি তুলে দিয়েছি।'

Advertisement

গবেষকের বিতর্কিত কার্যকলাপের এখানেই শেষ নয়। পুলিশের দাবি, এনআরসি (NRC) বিরোধিতা করে কবিতা পাঠে অংশ নিয়েছিলেন রেহনা সুলতানা। এবিষয়ে কী বলছেন তিনি। গবেষকের দাবি, ‘বৈধ নাগরিকদের সাহায্য করছি এনআরসিতে (NRC)। অনেকের নথিভূক্তকরণের কাজও করে দিয়েছি। বিশেষ কোনও স্বার্থ নিয়েই আমার বিরোধীতা করা হচ্ছে।' ওই কবিতায় কোনও বিতর্কিত বিষয় নেই বলেই মনে করেন তিনি।

অসম পুলিশের ডিজি (DG) কুলধর সাইকিয়া বলেন, ‘গুয়াহাটি পুলিশ মামলাটি দেখছে। বার বারই বলছি সোশ্যাল মিডিয়া কোনও ভুয়ো খবর বা ঘৃণামূলক বার্তা দেওয়ার জায়গা নয়।'

Advertisement
Advertisement