This Article is From Apr 18, 2019

ফেসবুকে অনুমতি ছাড়াই আপলোড হল ১৫ লাখ মানুষের ইমেল, আপনি নিরাপদে তো?

ফেসবুক ইনকর্পোরেটেড জানিয়েছে, ২০১৬ সালের মে মাসের পর থেকেই ১৫ লাখ নতুন ব্যবহারকারীর ইমেল আইডি ফেসবুকে আপলোড হয়েছে।

ফেসবুকে অনুমতি ছাড়াই আপলোড হল ১৫ লাখ মানুষের ইমেল, আপনি নিরাপদে তো?

ফেসবুক জানিয়েছে, এই আইডি কারো সাথেই শেয়ার হয়নি এবং সেগুলি ডিলিট করছেন তাঁরা

ব্যবহারকারীদের কোনও অনুমতি না নিয়েই, কোনও রকম আভাস ছাড়াই ফেসবুকে আপলোড হয়ে গিয়েছে লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারীর ইমেল আইডি (email contacts)! ফেসবুক ইনকর্পোরেটেড (Facebook Inc) বুধবার জানিয়েছে, ২০১৬ সালের মে মাসের পর থেকেই ১৫ লাখ নতুন ব্যবহারকারীর ইমেল আইডি ফেসবুকে আপলোড হয়েছে, ফেসবুকের দাবি বিষয়টি ‘অনিচ্ছাকৃত'। ব্যবহারকারোদের তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা (privacy-related issue) নিয়ে বারেবারেই সমস্যায় পড়ছে ফেসবুক। ইমেল সংক্রান্ত এই সমস্যা সেই বিষয়টিকেই প্রকাশ্যে আনল ফের।

 কৃষ্ণগহ্বরের প্রথম ছবির নাম দিলেন বিজ্ঞানীরা, কেন হাওয়াইয়ান মন্ত্র থেকে বাছা হল নাম?

মার্চ মাসে ফেসবুক, প্রথমবার যারা সাইন আপ করছেন তাঁদের জন্য বিকল্প হিসাবে ইমেল পাসওয়ার্ড যাচাইকরণ বন্ধ করে দিয়েছে বলেই জানিয়েছে। ফেসবুক আরও জানিয়েছে, ফেসবুকে নিজেদের অ্যাকাউন্ট তৈরি করার সময় ব্যবহারকারীদের ইমেল কনট্যাক্টস ফেসবুকে আপলোড করা হয়েছিল। ফেসবুক রয়টার্সকে জানিয়েছে, “আমাদের অনুমান যে ১.৫ মিলিয়ন মানুষের ইমেল কন্ট্যাক্ট আপলোড হয়ে গেছে। এই আইডি কারো সাথেই শেয়ার হয়নি এবং আমরা সেগুলি ডিলিট করছি। যাঁদের ইমেল ইমপোর্ট করা হয়েছে, তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হবে।” সংস্থার বিবৃতি অনুযায়ী তাঁদের এই ভুল সংশোধন করা হয়েছে।

বিজনেস ইনসাইডার পূর্বে জানিয়েছিল যে, অ্যাকাউন্ট খোলার সময় ব্যবহারকারীদের না জানিয়েই, তাঁদের সম্মতি ছাড়াই সোশ্যাল মিডিয়ার এই সংস্থাটি ব্যবহারকারীদের ইমেল আইডি নিয়ে নেয় নিজেদের কাছে। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যখন একটি ইমেল পাসওয়ার্ড দেওয়া হয়, তখন একটি বার্তা আসে যে, অনুমতি ছাড়াই মেলে থাকা যাবতীয় যোগাযোগ ‘ইমপোর্ট' করা হচ্ছে। 

আগুনের গ্রাস থেকে রক্ষা পেল নতরদাম গির্জার মূল কাঠামো

সম্প্রতি বেশ কয়েকটি গোপনীয়তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ফেসবুক সমস্যায় পড়েছে। কিছুকাল আগেই লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারীর পাসওয়ার্ড অভ্যন্তরীণ সিস্টেমে পঠনযোগ্য ফর্ম্যাটে সংরক্ষণ করা থাকায় তা হঠাতই ফাঁস হয়ে যায়।

গত বছর, ব্রিটিশ রাজনৈতিক পরামর্শক সংস্থা ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকিকা ব্যবহারকারীদের সম্মতি ছাড়াই লক্ষ লক্ষ মানুষেরর ফেসবুক প্রোফাইলের ব্যক্তিগত তথ্য পেয়ে যায়। এই ঘটনা প্রকাশের পর সংস্থার বিশ্বস্ততা ও গোপনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

ফেসবুকে ব্যক্তিগত তথ্য প্রদানের জন্য এবং এই মাধ্যমকে ব্যবহার করে ঘৃণা ও হিংসাত্মক বক্তব্য ছড়ানো এবং ডেটা পোর্টেবিলিটির ফলে মানুষকে প্রতারণা করার মতো ঘটনায় সারা বিশ্বের আইন বিশেষজ্ঞদের সমালোচনার মুখেও পড়েছে জুকারবার্গের সংস্থা।

ফেসবুককে তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অপব্যবহার করে ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকতেও বলা হয়েছিল।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.