Read in English தமிழில் படிக்க
This Article is From Aug 17, 2020

"কোনও দল হিসাবে ভেদাভেদ করা আমাদের নীতির মধ্যে নেই", জবাব দিলো ফেসবুক

Facebook-এর মতো সোশ্যাল মিডিয়াকে প্রভাবিত করছে বিজেপি, এমন অভিযোগ করা হয় বিরোধী দল কংগ্রেসের তরফে

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

Hate Speech: বিজেপি নেতাদের বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না ফেসবুক, অভিযোগ করে একটি মার্কিন জার্নাল (প্রতীকী চিত্র)

Highlights

  • নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ নস্যাৎ করলো ফেসবুক
  • দল-মত নির্বিশেষে তাঁরা নীতি প্রয়োগ করেন, জানালেন ফেসবুকের এক মুখপাত্র
  • ফেসবুকের মাধ্য়মে ভুয়ো খবর ও বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে বিজেপি, অভিযোগ করে কংগ্রেসও
নয়া দিল্লি:

ফেসবুক "কারও রাজনৈতিক অবস্থান বা কোন দল এসব বিবেচনা না করেই বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের (hate speech) প্রচার রুখতে নিজেদের নীতিমালা কার্যকর করে", মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি জার্নালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের জবাবে জানালো ওই সংস্থা (Facebook)। ওই প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয় যে, শাসক দল বিজেপির (BJP) নেতা ও কর্মীদের আপত্তিকর এবং বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের বিষয়গুলোর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি ফেসবুক। আর মার্কিন জার্নালের ওই প্রতিবেদনকেই হাতিয়ার করে বিজেপি আক্রমণ করে কংগ্রেস। তবে ফেসবুকের বিরুদ্ধে ওঠা পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে জুকারবার্গের সংস্থাটি জানিয়েছে, "আমরা সবসময়ই বিদ্বেষমূলক বক্তব্য বা হিংসায় মদতদানকারী উস্কানিমূলক বিষয়বস্তুকে নিষিদ্ধ করে থাকি। এক্ষেত্রে আমরা কারও রাজনৈতিক অবস্থান বা কোন দল সেসব বিবেচনা না করেই সারা বিশ্বে এই নীতি প্রয়োগ করি। যদিও আমরা জানি যে হয়তো আমাদের আরও অনেক কিছু করার আছে। সেগুলোর বিষয়ে আমরা কাজও করছি। আমাদের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা নিয়মিত পরীক্ষানিরীক্ষা করি যাতে বিষয়গুলো ন্যায্য এবং নির্ভুল হয়।"

"ফেসবুককে নিয়ন্ত্রণ করে বিজেপি", বললেন রাহুল গান্ধি, "হেরো" বলে পাল্টা কটাক্ষ মন্ত্রীর

রবিবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল নামে একটি মার্কিন পত্রিকায় বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়। ওই পত্রিকায় প্রকাশিত একটি নিবন্ধে বলা হয় যে শাসক দল বিজেপির নেতা ও কর্মীদের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এবং আপত্তিজনক বিষয়বস্তু প্রচার করার জন্য ফেসবুককে ব্যবহার করা হচ্ছে।

Advertisement

ভারতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৫০,০০০ ছাড়ালো, সংক্রমিত ২৬ লক্ষেরও বেশি

ওই জার্নালে আরও জানানো হয়েছে যে, ওই সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টের একজন কর্মকর্তা এমন ইঙ্গিতও দিয়েছেন যে, বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে যদি এর জন্য তাঁদের তরফ থেকে কোনওরকম পদক্ষেপ নেওয়া হয় তাহলে ভারতে "তাঁদের সংস্থার ব্যবসার ক্ষতি করা হবে"। মার্কিন ওই জার্নালে বর্তমান এবং প্রাক্তন বিজেপি কর্মীদের নানা বিদ্বেষমূলক মন্তব্য তুলে ধরে দেখানো হয়েছে, কীভাবে বিজেপির প্রতি ফেসবুকের "পক্ষপাতিত্বের আচরণ" রয়েছে।

Advertisement

এই জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনকে হাতিয়ার করেই বিরোধী দল কংগ্রেসের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয় যে. সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দেশবাসীকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে ভারতীয় জনতা পার্টি, তাঁদের নেতারা বিদ্বেষমূলক বার্তা দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করা হয়।

এই বিষয়টি নিয়ে যে শুধু কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধি সোচ্চার হন তা নয়, টুইট করেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা শশী থারুরও। তিনি এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের শাসকদলের নিন্দা করেছেন। টুইট করে তিনি একথাও বলেন,  "সংসদের তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি অবশ্যই এই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ছড়িয়ে দেওয়া সম্পর্কে @ ফেসবুকের কথা শুনতে চাইবে।"

Advertisement

যদিও শাসক দল বিজেপির পক্ষ থেকে কংগ্রেসের তোলা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

Advertisement