West Bengal: বিজেপি রেশন সামগ্রী নিজেদের দফতরে মজুত করে রাখছে, অভিযোগ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (ফাইল চিত্র)
হাইলাইটস
- করোনা ভাইরাস থাবা বসিয়েছে পশ্চিমবঙ্গেও
- তবে করোনা পরিস্থিতি বাস্তব তথ্য সামনে আনছে না রাজ্য সরকার, অভিযোগ বিজেপির
- যদিও শাসক দল অভিযোগ করেছে যে অপপ্রচার চালাচ্ছে রাজ্য বিজেপি
কলকাতা: COVID-19 যখন মহামারী রূপে দেখা দিয়েছে গোটা দেশে তখনও পশ্চিমঙ্গে (West Bengal) চলছে রাজনৈতিক যুদ্ধ। আর এই রাজনৈতিক যুদ্ধ এখন হচ্ছে মূলত সামাজিক মাধ্যমগুলো ব্যবহার করেই। রাজ্য বিজেপির (BJP) আইটি সেল সরকারকে (West Bengal government) ইচ্ছাকৃতভাবে আক্রমণ করতে অপপ্রচার চালাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, এমনই অভিযোগ করে ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি এই অভিযোগও করেন যে রাজ্যের দরিদ্রদের মুখের গ্রাস কেড়ে নিচ্ছে বিজেপি, রেশনে প্রাপ্য দ্রব্যাদি গোপনে মজুত করে রাখছে কেন্দ্রের শাসক দল। রাজ্যের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষকে ট্যাগ করে পার্থ চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, "এখন ঘরে বসে ভুল তথ্য ছড়িয়ে দিয়েও যথেষ্ট তৃপ্তি পাচ্ছে না এরা, এখন @BJP4Bengal কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া রেশনের চাল সহ অন্যান্য জিনিস দলীয় কার্যালয়ে জমা করছে !!! কীভাবে আপনি বাংলাকে এমন প্রতারণা করতে পারেন এবং এতো নীচুমনের কাজ করতে পারেন? আপনি তাহলে এই রাজ্যের মানুষ যাতে রেশন না পায় তার জন্যেই চেষ্টা করছেন ??"
করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ হাজার পেরলো, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কোটাতে আটকা পড়ে থাকা বাংলার শিক্ষার্থীদের নিয়ে যেভাবে রাজ্য বিজেপি ভুয়ো প্রচার চালাচ্ছিল তা বন্ধ করার জন্যে পুলিশকে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার। জানা গেছে, রাজ্য সরকারের সহায়তায় রাজস্থান থেকে বাড়ির পথে রওনা হয়েছেন ওই শিক্ষার্থীরা।
এই পড়ুয়াদের কতটা অমানবিকভাবে ফেরানো হচ্ছে এই অভিযোগ করে রাজ্য বিজেপি টুইটারে প্রচার করতে শুরু করে যে, কোটা থেকে মাত্র ৩ টি বাসে করে প্রায় ৩,০০০ শিক্ষার্থীকে বাংলায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। "কেবল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারই এরকম কাজ করতে পারে", কটাক্ষ করে এই কথাও লেখা হয়।
লকডাউন পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি
রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব অবশ্য টুইটে জানান, এ রাজ্যের মোট ২,৩৬৮ জন শিক্ষার্থীকে ৯৫ টি বাসে করে পশ্চিমবঙ্গে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে এবং আগামীকাল তাঁরা বাংলায় পৌঁছে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এরপর সন্ধেবেলায় দেখা যায় এই টুইট যুদ্ধে যোগ দিয়েছে রাজ্য সরকারের পুলিশও। দিনভর চলে এই টুইট যুদ্ধ। কোনটা সত্যি আর কোনটা অপপ্রচার তা নিয়ে টুইট পাল্টা টুইট চলতে থাকে। যার মাঝে পড়ে বেবাক বনে গেছে রাজ্যের মানুষ।
এছাড়াও মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের সরকারি হাসপাতালের সুপারিন্টেন্ডেন্টকে বদলি করার খবর নিয়েও দিনভর চলে রাজনীতি।
বিজেপি দাবি করে যে এই হাসপাতালের ডিউটি রোস্টার প্রকাশ্যে আসার পরেই তাঁকে বদলি করার বিষয়টি জনসমক্ষে আসে। বিজেপির অভিযোগ, সরকারের তরফে নাকি ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে যদি কোনও রোগীর মৃত্যু হয় তবে ডেথ সার্টিফিকেটে যেন কোনওভাবেই COVID-19 কে মৃত্যুর কারণ হিসাবে উল্লেখ না করা হয়। আর সেই নির্দেশই নাকি কোনওভাবে প্রকাশ করে ফেলেন হাসপাতালের সুপার।
এরপরেই বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়কে ভুয়ো খবরের “সুপার স্প্রেডার” বলে উল্লেখ করেন তৃণমূলের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, এই বিষয়ে টুইটও করেন তিনি।
ওই হাসপাতালের সুপারকে বদলি করার পরেই, বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য টুইট যুদ্ধে যোগ দেন।
করোনা মহামারীর জন্যে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন যে কবে হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। ২০২১ সালে এই নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও আপাতত তা যে পিছিয়ে যাবে তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু তাতে কী, শাসক-বিরোধী তরজা কিন্তু লেগেই আছে এ রাজ্যে।