This Article is From Dec 21, 2019

CAA: মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য 'অবাস্তব', বিবৃতি বিদেশমন্ত্রকের

CAA: শনিবার রীতিমতো বিবৃতি জারি করে বিদেশ মন্ত্রক বলেছে; "সংবাদমাধ্যম অনুসারে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবার ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন

CAA: মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য 'অবাস্তব', বিবৃতি বিদেশমন্ত্রকের
নিউদিল্লি:

নাগরিকত্ব আইন প্রসঙ্গে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য 'অবাস্তব' বলে বিবৃতি দিল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। পাশাপাশি বিষয়টা ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলেও জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক।শনিবার রীতিমতো বিবৃতি জারি করে বিদেশ মন্ত্রক বলেছে; "সংবাদমাধ্যম অনুসারে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবার ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। সিএএ (CAA) মূলত সে সব অনাগরিকদের চটজলদি নাগরিকত্ব দেবে, যাঁরা প্রতিবেশী তিনটি রাষ্ট্রের সংখ্যালঘু হিসেবে এদেশের শরণার্থী।' বিবৃতিতে যোগ করা হয়েছে, কোনও ভারতীয় নাগরিকের ওপর এর প্রভাব থাকবে না। কিংবা কোনও নাগরিকের ব্যক্তিগত বিশ্বাসকে বঞ্চিত করবে না। তাই প্রকৃত সত্যটা না জেনে আমরা মালয়েশিয়াকে অনুরোধ করবো; ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য না করতে। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছে, তা বাস্তব না জেনে। 

কুয়ালালামপুরে সামিট চলাকালীন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছিলেন; 'নাগরিকত্ব আইনের কী দরকার? যেখানে ভারতীয়রা গত সত্তর বছর ধরে একসঙ্গে থাকছে।' তিনি যোগ করেছেন; ধর্মনিরপক্ষে বলে দাবি করা একটা রাষ্ট্র; এমন পদক্ষেপ নিলো, যার জেরে সে দেশের কিছু মুসলিম বঞ্চিত হবে। নাগরিকত্ব বিলের সমালোচনা করতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন মালয়েশিয়া প্রধানমন্ত্রী মাহাতির মহম্মদ। এমনকী কার্যত হুমকির সুরে তিনি বলেছেন, যদি আমরা এই জিনিস এখানে চালু করি, তাহলে জানি না কী হবে! চারিদিকে বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা হব। প্রত্যেকে ভুগবে। এই মন্তব্য বিরোধিতা করেই এদিন বিবৃতি জারি করে বিদেশ মন্ত্রক।

ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সংসদে পাশ হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। তারপর রাষ্ট্রপতির সিলমোহরের পর সেই বিল আইনে পরিণত হয়েছে। তারপর থেকেই নাগরিক প্রতিবাদে স্তব্ধ দেশের একাধিক মেট্রো শহর। চলছে জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ। গ্রেপ্তারি-আটক, ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে; বিশ্বের কাছে একটা নেতিবাচক বার্তা পৌঁছয়। এই আইন পর্যালোচনা করার আবেদন কেন্দ্রের সরকারকে করেছে রাষ্ট্রসেঙ্ঘর বিভিন্ন গোষ্ঠী থেকে আমেরিকার সাংসদরা। এই বিবাদে মার্কিন সাংসদের এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করে দেশে ফিরে আসেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। 

সাম্প্রতিক সময়ে ভারত সফর বাতিল করেছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী। সবমিলিয়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে চলা নাগরিক আন্দোলনে ঘরে-বাইরে খানিকটা বিব্রত নরেন্দ্র মোদির সরকার।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.