Read in English
This Article is From Jan 07, 2020

"পরিকল্পিত আক্রমণের অংশ...": জেএনইউয়ের পাশে আইআইটি বম্বের শিক্ষকরা

JNU mob attack: দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে হওয়া হামলার ঘটনায় এবার আক্রান্ত পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ালেন আইআইটি-বম্বের শিক্ষকরাও

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

JNU Violence: জেএনইউয়ের হামলার ঘটনায় দেশ জুড়ে নিন্দায় সরব হয়েছেন সকলে

Highlights

  • জেএনইউয়ের হামলার প্রতিবাদে এবার তাঁদের পাশে দাঁড়াল আইআইটি বোম্বাই
  • পরিকল্পিত হামলার অংশ বলেই মনে করছে আইআইটি বোম্বাই
  • এই ঘটনার প্রতিবাদে ১৪১ জন অধ্যাপকের স্বাক্ষর সম্বলিত চিঠি প্রকাশ হয়েছে
নয়া দিল্লি:

দেশ জুড়ে এখন চলছে জেএনইউ হামলার প্রতিবাদ, বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ-আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে আছড়ে পড়ছে প্রতিবাদের ঢেউ। এবার দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের আক্রান্ত (JNU mob attack) শিক্ষক ও ছাত্রদের পাশে দাঁড়ালো আইআইটি-বম্বে। "শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গণতান্ত্রিকভাবে মতপ্রকাশ ও প্রতিবাদের অধিকার"-এর সমর্থনে এবার আন্দোলনে সরব হলেন ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক (IIT Teachers on JNU Violence) এবং পড়ুয়ারাও। রবিবার জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে লাঠি ও লোহার রড নিয়ে হামলা চালায় ৫০ জন মুখোশধারী, হামলা চালানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসেও। অভিযোগ ওই মুখোশধারীরা সেখানে প্রবেশ করে পড়ুয়াদের মারধর করে। ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। আইআইটি-বম্বের শিক্ষকরা মঙ্গলবার জেএনইউর শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উপর হামলার নিন্দা জানিয়ে সংহতি প্রকাশ করেন।

"আমরা এই ঘটনাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সহ দেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠানের উপর হওয়া পরিকল্পিক হামলার অংশ হিসাবেই দেখছি। যেভাবে বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একের পর এক আক্রমণের ঘটনা ঘটছে তা আটকাতে পুলিশ প্রশাসনের ব্যর্থতা দেখে আমরা হতাশ; একের পর এক ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে", আইআইটি-বোম্বাইয়ের শিক্ষকদের লেখা একটি চিঠিতে জেএনইউ, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়, এমনকি জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলির কথা উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

অর্থনৈতিক তথ্য পর্যালোচনার সরকারি প্যানেল থেকে ইস্তফা জেএনইউয়ের অধ্যাপকের

Advertisement

"আমরা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারে বিশ্বাস করি, যে অধিকার আমাদের সংবিধান দিয়েছে। বর্তমানে সেই স্বাধীনতাই হরণ করা হচ্ছে। আমরা তাই এর বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক এবং শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করার অধিকারকেই বেছে নিয়েছি। নির্ভয়ে কাজ করতে দিতে হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মতো স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলিকে", ওই চিঠিতে এই দাবিও করা হয়েছে। "তাঁদের ব্যক্তিগত সমর্থন" জানিয়ে ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন মোট ১৪১ জন অধ্যাপক।

"ছাত্র রাজনীতিতে হিংসাত্মক আন্দোলনের জন্যে দায়ী বাম রাজনীতি", বললেন দিলীপ ঘোষ

Advertisement

এর আগে আইআইটি কানপুরের তরফ থেকেও একটি প্রতিবাদ সম্বলিত চিঠি প্রকাশ করা হয়।  গত ১৭ ডিসেম্বর শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন সেখানকার পড়ুয়ারা। কিন্তু ১৪৪ ধারা জারি থাকায় ক্যাম্পাসের বাইরে যেতে পারেননি পড়ুয়ারা। পাক কবি ফৈয়াজের ‘হাম দেখেঙ্গে' কবিতা পাঠ করেন এক আইআইটি পড়ুয়া। যার ভিত্তিতে অভিযোগ দায়ের করেন ড. বশীমন্ত শর্মা নামে এক অধ্যাপক ও আরও ১৬ জন। হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে বলে অভিযোগপত্রে জানান তাঁরা।

Advertisement