তাজমহল গড়া আর শেষ হয়নি, ফয়জুল তাঁর সমস্ত সঞ্চয় দিয়ে গড়ে তুলতে পেরেছিলেন কেবল মৌলিক কাঠামোটুকুই
হাইলাইটস
- স্ত্রীর মৃত্যুর পর তাঁর স্মৃতিতে মিনি তাজমহল বানাতে শুরু করেন কাদরি
- কাজ শেষ করতে সরকারি সাহায্য প্রত্যাখ্যান করেন তিনি
- গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় প্রবীণ এই পোস্টমাস্টারের
লক্ষ্ণৌ: শুধু শাহজাহান নয়, মধ্যবিত্ত মানুষও যে তাজমহল গড়ার স্বপ্ন দেখে তা প্রমাণ করেছিলেন উত্তর প্রদেশের বুলন্দশহরের ফয়জুল হাসান কাদরি। শুধু তো স্বপ্ন দেখাই শেষ নয়, তাঁর মৃত স্ত্রীর স্মৃতিতে 'মিনি-তাজমহল' নির্মাণও করেছিলেন ফয়জুল হাসান কাদরি। তবে শেষ করে ওঠা হল না। শনিবার এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন প্রেমের কারিগর ফয়জুল।
বৃহস্পতিবার কেশর কালানে একটি গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে ফয়জুল কাদরি গুরুতর আহত হন। 83 বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত এই পোস্টমাস্টারকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই শুক্রবার তিনি মারা যান।
2012 সালে তাজা মুলি বিবির স্মৃতিতে তিনি তাঁর ছোট তাজমহল নির্মাণ শুরু করেছিলেন। 1953 সালে তাঁদের দু'জনের বিয়ে হয়। কিন্তু এই তাজমহল গড়া আর শেষ হয়নি। তিনি তাঁর সমস্ত সঞ্চয় দিয়ে গড়ে তুলতে পেরেছিলেন কেবল সাধের তাজমহলের মৌলিক কাঠামোটুকুই।
'তাজমহল' নির্মাণের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী আখিলেশ যাদব ফয়জুল কাদরিকে লক্ষ্ণৌকে ডেকেছিলেন এবং কাঠামো সম্পন্ন করা ও মার্বেলের কাজ সম্পন্ন করার জন্য তাঁকে অর্থও প্রদান করতেও চেয়েছিলেন।
ফয়জুল কাদরি বিনম্রভাবে এই আর্থিক প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন এবং তার পরিবর্তে ওই গ্রামে মেয়েদের জন্য একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য সমাজবাদী পার্টির নেতাকে অনুরোধ করেন। কলেজটির কাজ শেষ হয়েছে। সেখানে চলছে পঠনপাঠন। এই কলেজ তৈরিতে কিছু জমি দান করেছিলেন কাদরিও।
তাঁর আত্মীয়স্বজনরা জানান, প্রাক্তন এই পোস্টমাস্টার দু'লাখ টাকার জমিয়ে ছিলেন জয়পুর থেকে এই তাজমহলের জন্য মার্বেল কিনবেন বলে। কিন্তু ভাগ্যই এমন, সে কাজ আর শেষ হল না। মৃত্যুর পর মুমতাজের পাশেই কবর দেওয়া হয় মুঘল সম্রাট শাহজাহানকেও। কাদরির শেষ শয্যাও তৈরি হচ্ছে তাঁর স্ত্রীর পাশেই। আত্মীয়রাই কাদরির অসমাপ্ত তাজমহল গড়ার কাজ শেষ করতে উদ্যোগ নিয়েছেন।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)