ভারতের এয়ার স্ট্রাইকে (Air Strike) কাশ্মীরে মৃত জঙ্গিদের দেহ দেখতে চাইল উত্তরপ্রদেশের দুই শহিদ জওয়ানের পরিবার। প্রদীপ কুমার এবং রাম ভাকীলের মৃত্যু হয়েছে পুলওয়ামার হামলায় ( Pulwama Attack)। গত মাসের ১৪ তারিখ কাশ্মীরে আঘাত হানে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। সিআরপিএফের কনভয়ে আত্মঘাতী হামলায় শহিদ হন ৪০ জনেরও বেশি জওয়ান শহিদ হন। এই দুজন তাদের মধ্যে ছিলেন। এই জঙ্গি হামলার বদলা নিতে ২৬ তারিখ আকাশ পথে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে পড়ে বালাকোটের জঙ্গি ঘাঁটিতে বোমা বর্ষণ করে ভারতীয় বায়ুসেনা। কেন্দ্রের দাবি এই হামলায় মৃত্যু হয়েছে বহু জঙ্গির। এ নিয়ে বিরোধীরা সরকারকে আক্রমণ করেছে। এবার শহিদ পরিবার জঙ্গিদের দেহ দেখতে চাইল।
পুলওয়ামার জঙ্গি হামলাকে 'দুর্ঘটনা' বলে বিপাকে পড়লেন বিজেপি নেতা
হামলায় শহিদ জওয়ান রাম ভাকিল।
রামের বোন বলেন, পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার পর যেমন দেহের অংশ থেকে শুরু করে নানা কিছু উদ্ধার হয়েছে, স্ত্রাইকের সময়ও সেরকমই কিছু হয়ে থাকবে। আমি নিশ্চিত স্ট্রাইক হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান বলছে কিছুই হয়নি। কোনও ক্ষয়ক্ষতির কথা মানতে চাইছে না ওরা। এমতাবস্তায় আমাদের প্রমাণ দেওয়া হোক। জঙ্গিদের মৃতদেহ দেখতে পেলেই আমরা শান্তি পাব। অন্যদিকে প্রদীপ কুমারের মা বলেন, ‘ দেশের এতগুলো ছেলে প্রাণ দিল। আর আমরা জঙ্গিদের মৃতদেহ পর্যন্ত দেখতে পেলাম না! আমরা এতে সন্তুষ্ট নই। আমরা চাই জঙ্গিদের মৃতদেহ টিভিতে দেখানো হোক।
পুলওয়ামার জঙ্গি হামলাকে 'দুর্ঘটনা' বলে বিপাকে পড়লেন বিজেপি নেতা
পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার স্টাইকে কত জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে বিস্তর চর্চা শুরু হয়েছে। বিরোধী দলের নেতারা একাধিক ক্রমে এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। শাসক দলের নেতা-নেত্রীরাও জবাব দিচ্ছেন। বায়ুসেনার হানা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় বিরোধী শিবিরকে আক্রমণ করছেন প্রধানমন্ত্রী মোদীও। আর এবার তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য ভি কে সিং জঙ্গি মারার ঘটনাটিকে মশা মারার সঙ্গে তুলনা করলেন। বললেন এখন থেকে মশা মারলেও গুনে রাখতে হবে নাকি।রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্যের আসল উদ্দেশ বিরোধী দল গুলি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও আক্রমণ করেছেন বিরোধীদের। তিনি বলেছেন,সরকারি সংস্থার রিপোর্ট বলছে জইশ ঘাঁটিতে তিনশোটিরও বেশি মোবাইল চালু ছিল। সেগুলি কি তাহলে গাছেরা ব্যবহার করত?