This Article is From Oct 30, 2019

নিয়মিত হুমকি দিত জঙ্গিরা, কাশ্মীরে মৃত শ্রমিকদের পরিবারের দাবি

জঙ্গিরা সন্ধেবেলায় এসে তাঁদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর এক নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে তাঁদের গুলি করা হয়।

নিয়মিত হুমকি দিত জঙ্গিরা, কাশ্মীরে মৃত  শ্রমিকদের পরিবারের দাবি

কুলগামে জঙ্গি হানায় মুর্শিদাবাদের শ্রমিকদের মৃত্যুর ঘটনা য় শোকস্তব্ধ রাজ্য।

মঙ্গলবার কাশ্মীরের (J&K) কুলগামে জঙ্গি হানায় (Terrorist Attack) মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) শ্রমিকদের মৃত্যুর ঘটন‌ায় শোকস্তব্ধ রাজ্য। জানা যাচ্ছে, এই শ্রমিকরা যেহেতু কাশ্মীরের বাসিন্দা নন, তাঁই তাঁদের নিয়মিত হুমকি দিত জঙ্গিরা। তাঁদের চ‌লে যেতে বলা হত কাশ্মীর থেকে। দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামের আপেল বাগানে কাজ করতেন মৃত পাঁচ শ্রমিক— নঈমুদ্দি‌ন শেখ, মুর্সালিম শেখ, রফিক শেখ, কামরুদ্দিন শেখ ও রফিকুল শেখ। মঙ্গলবার রাতে তাঁদের গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। আর এক শ্রমিক জাহিরুদ্দিন শেখ, যাঁকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, তিনি দু'মাস আগে বিয়ে করেছিলেন। বুধবার সকালে তাঁর মৃ্ত্যু হয়। এই ছয় শ্রমিকই মুর্শিদাবাদের সাগরডিহির বাহাল নগরের বাসিন্দা।

একটি বাংলা নিউজ চ্যানেলে দেখানো হয়েছে, আহত জাহিরুদ্দিন‌ জানান, মঙ্গলবার জঙ্গিরা সন্ধেবেলায় এসে তাঁদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর এক নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে তাঁদের গুলি করা হয়। কেবল তিনিই গুলি খাওয়ার পরেও পালাতে পেরেছিলেন এলাকা থেকে।

জঙ্গি হানায় নিহত রাজ্যের শ্রমিকদের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর

প্রতি বছরই আগস্ট মাসে কাজ করতে কাশ্মীরে আসেন শ্রমিকরা। আবার অক্টোবরে ফিরে যান। কাশ্মীরের আপেলের মরশুম শুরু হয় আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে তা শীর্ষে পৌঁছয়।

নঈমুদ্দিনের বাবা জারিস শেখও একসময় আপেল বাগানে কাজ করেছেন, তিনি জানাচ্ছেন, তাঁর ছেলে ও অন্যরা নিয়মিত জঙ্গিদের কাছ থেকে হুমকি পেতেন।

তদন্তকারীসংস্থার আর্জি খারিজ, ফের তিহার জেলেই পি চিদাম্বরম

তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘আমার ছেলে এবং অন্যরা নিয়মিত হুমকি পেত বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীর থেকে। ওদের বলা হত, ওরা কাশ্মীরিদের চাকরি খেয়ে ফেলছে। আমি ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিই এবং গতকাল ফিরে আসি। আমার ছেলেরও বৃহস্পতিবারই ফিরে আসার কথা। ও ওর বেতনের অপেক্ষা করছিল। আমি যখন সোমবার ফিরে আসি তখন ভাবতেও পারিনি আমার ছেলেকে এই শেষবার দেখছি।''

আর এক নিহত শ্রমিক কামরুদ্দিনের বড় দাদা আমিনিরুল জানাচ্ছেন, ‘‘কামরুদ্দিন কাশ্মীরে কাজ করছে গত কয়েক বছর ধরে। কিন্তু এবার যখন ওর সঙ্গে শেষবার কথা হল, ও জানিয়েছিল আর কাশ্মীরে আসবে না কেননা পরিস্থিতি একেবারেই ভাল নয়। ওদের নাকি নিয়মিত এখান থেকে চলে যেতে বলা হচ্ছিল।''

দু'মাস আগে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্রীয় সরকার, তারপর সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে সর্বপ্রথম জানতে, মঙ্গলবারই জম্মু ও কাশ্মীরে গিয়েছেন ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেছে নিরাপত্তারক্ষীরা, এবং ব্যাপকভাবে তল্লাশি অভিযান চলছে। অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনীও তলব করা হয়েছে।

গত ১৫ দিনে জঙ্গিদের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন ৬ জন ট্রাক চালক, এক আপেল ব্যবসায়ী এবং অন্যান্য রাজ্যের ৬ জন শ্রমিক।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.