This Article is From Aug 04, 2019

৯১-তেও চির নবীন, চিরদিনের সেই কিশোর

কেক ছিল। ছিল ফুলের বোকে। ছিল তাঁর গান। তাঁর সঙ্গে কাটানো এক প্যান্ডোরা বক্স স্মৃতি। যার ঝাঁপি খুলতেই ঝাঁপিয়ে বেরিয়ে পড়ে নানা রঙের সেই কিশোর।

৯১-তেও চির নবীন, চিরদিনের সেই কিশোর

সপরিবারে কিশোর কুমার গাঙ্গুলি পরিবার

কলকাতা:

কেক ছিল। ফুলের বোকেও ছিল। ছিল তাঁর গান। তাঁর সঙ্গে কাটানো এক প্যান্ডোরা বক্স স্মৃতি। যার ঝাঁপি খুলতেই ঝাঁপিয়ে বেরিয়ে পড়ল নানা রঙের সেই কিশোর। শুধু মানুষটিই ছিলেন না! কিন্তু না থেকেও যে এমন ভয়ানক ভাবে জড়িয়ে থাকা যায় তারই যেন সাক্ষী থাকল কল্লোলিনী। কলকাতা বরাবর শিল্পরসিক। কিংবদন্তি শিল্পীরা তাই তিলোত্তমার বুকের খু-উ-ব কাছ ঘেঁষা। যদিও সেই তালিকায় নাম আছে অ-নে-ক শিল্পীর। তার মধ্যে শহরের বড় প্রিয় গায়ক-অভিনেতা কিশোর কুমার গাঙ্গুলি (Kishore Kumar)। আজ তিনি ৯০-তম জন্মবার্ষিকীতে (90th Birth Anniversary) পা দিলেন। তাঁকে ছাড়াই তাঁর গান গেয়ে, ধুমধাম করে কেক কেটে কলকাতা তাঁর জন্মদিন পালন করল থিজমের সৌজন্যে। গত পাঁচ বছরের মতো এবারেও আজ, রবিবার শিল্পীর জন্মদিনে কিশোর-পুজো সারলেন সংস্থার কর্ণধার পার্থ সাহা। 'তোমায় পড়েছে মনে' অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শিল্পীকে আবার ফিরিয়ে আনলেন শহরবাসীর কাছে। 

গানে-কথনে ৯১ তম জন্মদিনে কিশোর স্মরণে ‘তোমায় পড়েছে মনে'

আজ কিশোর কুমার থাকলে কী হত? শিল্পীকে নিয়ে যা করতেন তাঁর পরিবার, যেভাবে তাঁকে ঘিরে উন্মাদনায় মাততেন ভক্তরা, সেটাই আজ হল নজরুল মঞ্চে। বিকেল পাঁচটা থেকে। মঞ্চে কিশোরকণ্ঠী অর্ণব চক্রবর্তী সহ একাধিক শিল্পীর গানের পরেই শ্রোতা নড়েচড়ে বসে যখন মাইক হাতে অমিত কুমার উঠলেন। বাবার ঢঙে, নিজের মতো করে বাবার গাওয়া গান গাইলেন কিশোর পুত্র। ভণিতা হিসেবে প্রথমে নিজের পারিবারিক ইতিহাস, নিজের নাম, বাবার নাম জানালেন গানে গানে। যেভাবে নিজেকে বারেবারে সবার সামনে নিজের পরিচয় তুলে ধরতেন কিশোর কুমার। তারপর তাঁর গলায় শোনা গেল ইয়ে জো মহব্বত হ্যায়, আনেওয়ালা পল যানেওয়ালা হ্যায়, সেই রাতে রাত ছিল পূর্ণিমা, থোড়ি সি যো পিলি হ্যায়-র মতো গান। যা শুনে কখনও হিয়া নস্টাল হয়েছে শ্রোতার। কখনও গানের তালে উল্লাসে নেচে উঠেছে সভাগৃহ। 

velg2gm8

শিল্পীর ছোট ছেলে অমিত কুমার মঞ্চে আসেন কিশোর কুমারের গাওয়া বিখ্যাত গান বচনা অ্যায় হাসিনো গান গাইতে গাইতে। তিনিও বাবার বেশ কিছু জনপ্রিয় গান শোনান শ্রোতাদের। এরপরেই মঞ্চে ডেকে নেওয়া হয় কিশোর-ঘরনি লীনা চন্দ্রভারকরকে। স্মৃতিচারণায় তিনি বলেন, প্রতি ৪ অগাস্ট ওঁরই একটা গান আমি মনে মনে গুনগুন করি, মুঝে অঔর জিনে কি চাহত না হতে, আগর তুম না হোতে। আজও আমি বেঁচে আছি কিশোরজিকে আঁকড়েই। মঞ্চে আরেকবার ডেকে নেওয়া হয় দুই ছেলে, অমিত কুমারের স্ত্রী, দুই মেয়েকে। সবাইকে সম্বর্ধনা জানান পার্থ সাহা। 

jt9ur4mg

মঞ্চে আসেন অভিনেতা চিরঞ্জিত। তিনি কবিতার মাধ্যমে, স্মৃতিচারণ করে শ্রদ্ধা জানান শিল্পীকে। পাশাপাশি, লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট সম্মান তুলে দেওয়া হয় কলকাতার অন্যতম কিশোরকণ্ঠী গৌতম ঘোষকে। যিনি কোনোদিন কিশোর কুমারের গান ছাড়া অন্য শিল্পীর গান কণ্ঠে তোলেননি। শিল্পীর মৃত্যুর পরে যিনি কিশোর কুমারের জুতো জোড়া নিয়ে আসেন অমিত কুমারের কাছ থেকে। যাকে আজও তিনি রোজ পুজো করেন।

.