This Article is From Feb 17, 2020

মালদহে নির্মীয়মাণ সেতু ভেঙে পড়ে মৃত কমপক্ষে ৩, আহত আরও

Farakka Bridge Collapse: জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে এই সেতুটি তৈরি হচ্ছিল, ধ্বংসস্তূপের তলায় আরও কয়েকজন শ্রমিক আটকা পড়েছেন বলে অনুমান

মালদহে নির্মীয়মাণ সেতু ভেঙে পড়ে মৃত কমপক্ষে ৩, আহত আরও

West Bengal: ফরাক্কা বাঁধের নির্মীয়মাণ সেতু ভেঙে মৃত্যু হল কমপক্ষে ৩ জনের

হাইলাইটস

  • ফরাক্কা বাঁধের উপর নির্মীয়মাণ সেতু ভেঙে বিপত্তি
  • রবিবার সেতুর দুই স্তম্ভের মধ্যে গার্ডার বসানোর কাজ চলাকালীন ঘটে দুর্ঘটনা
  • সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত ৩, আহত আরও ৩
কলকাতা:

রবিবার রাতে হঠাইই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) মালদহ জেলার বৈষ্ণবনগরে ফরাক্কা বাঁধের (Farakka Barrage) সঙ্গে সংযোগকারী নির্মীয়মাণ একটি সেতু। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজন ইঞ্জিনিয়ার সহ মোট ৩ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত আরও ৩ জন। তবে এখনও সেতুর (Bridge Collapse) ভেঙে পড়া অংশের ধ্বংসস্তূপের তলায় আরও কয়েকজন শ্রমিক আটকা পড়ে থাকায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও  কংগ্রেস বিধায়ক মঈনুল হক দাবি করেছেন যে ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারতীয় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে এই সেতুটি তৈরি হচ্ছিল। ধ্বংসস্তূপের তলা থেকে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী এক জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার শ্রীনিবাস এবং আরেক কর্মী শচীন প্রতাপ সহ মোট ৩ জন। ঘটনায় আহত আরও ৩ জনের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

জামিয়ার লাইব্রেরিতে পড়ুয়াদের ওপর পুলিশি বর্বরতা! প্রকাশিত ফুটেজে তরজা

জানা গেছে, সেতুটির এক ও দুই স্তম্ভের মধ্যে গার্ডার বসানোর সময়ই ওই দুর্ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্যেই আরও ৭ জন শ্রমিককে উদ্ধার করা গেছে।

কংগ্রেস নেতা মঈনুল হকের দাবি, গার্ডারটি সেট করার সময়েই সেটি পিছলে যায় এবং তারপরেই হুড়মুড় করে সেতুর ওই অংশটি ভেঙে পড়ে।

৪০৬ জনের উপসর্গ নেগেটিভ! Coronavirus সতর্কতায় মানেসারে থাকা ভারতীয়দের বাড়ি ফেরাবে কেন্দ্র

"আমার কাছে যে খবর আছে তা হল, গার্ডারটি লাগানোর সময়েই সেটি পিছলে যাওয়ায় ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যেই ধ্বংসস্তূপের তলা থেকে ৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৪ জন মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে একজন ইঞ্জিনিয়ারও রয়েছেন। দু'জন শ্রমিককে এমএমসিএইচে ভর্তি করা হয়েছে। আরও এক বা দু'জন শ্রমিক ওই ধ্বংসস্তূপের তলায় এখনও থাকতে আটকা পড়ে থাকতে পারেন। তাই তাঁদের উদ্ধার করতে তল্লাশি চলছে", বলেন কংগ্রেস বিধায়ক।

এদিকে লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী এই ঘটনায় বিস্তারিত তদন্তের দাবি করেছেন। পাশাপাশি নিহতদের পরিবারের জন্যে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও দাবি তুলেছেন।

তিনি বলেন, "ফরাক্কা বাঁধের উপর থেকে চাপ কমাতে সেতুটি তৈরি করা হচ্ছিল। এটা আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। কিন্তু তারমধ্যেই এই দুর্ঘটনা। নির্মাণ সংস্থার উচিত কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা। এ বিষয়ে আমি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকড়ির সঙ্গে দেখা করে কথা বলবো"।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক সরকার জানান, ওই সেতু-দুর্ঘটনাটি ঘটার সময় সেখানে কমপক্ষে ৯-১০ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন।

তিনি বলেন, "এই দুর্ঘটনাটি ঘটায় বেশ কয়েকজন শ্রমিক ওখানে আটকা পড়েছিল। আমরা তাঁদের উদ্ধার করেছি। প্রজেক্ট ম্যানেজার আমায় জানিয়েছেন যে সেই সময় ওখানে ৯-১০ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন"।

.