“রিডিউজ, রিইউজ এবং রিস্টাইল” (reduce, reuse and restyle) এই বিশেষ লক্ষ্য সামনে রেখেই সম্প্রতি টেক্সটাইল দূষণ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে চেন্নাইয়ে অভিনব ফ্যাশন শোয়ের আয়োজন করলেন ভারতের ৬০ জন মিসেস ইন্ডিয়া (Mrs India) প্রতিযোগী। পুরানো পোশাক দিয়ে তৈরি দুরন্ত সব সাজে র্যাম্পে হাঁটলেন তাঁরা। এই বিশেষ অনুষ্ঠানের শোস্টপার ছিলেন অনূর্ধ্ব ৪০ বিভাগের মিসেস ইন্ডিয়া ২০১৯-২০ এর বিজয়ী ডাঃ প্রিয়াঙ্কা অভিষেক (Dr Priyanka Abhishek)। বেঙ্গালুরুর দন্ত চিকিৎসক প্রিয়াঙ্কা ৯০-বছরের পুরনো দুটি নীল কাঞ্চিভরম শাড়ি পরেছিলেন যা একসময় তাঁর শাশুড়ির মা ব্যবহার করতেন। এই শাড়িগুলির মধ্যে একটিতে বিখ্যাত শিল্পী রাজা রবি বর্মা আঁকা এক মহিলার হাতে ফল ধরে থাকার ছবির প্রিন্ট ছিল। “আমি শিল্পের প্রতি আমার ভালবাসা প্রদর্শন করতেই চেয়েছিলাম, পারিবারিক ঐতিহ্য রক্ষা করতে এবং টেক্সটাইল দূষণ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে চেয়েছিলাম। ফ্যাব্রিকের পুনর্ব্যবহারের ফলে টেক্সটাইল দূষণকে রোখা যায়।”
Durga Puja 2019: ‘‘এবারের পুজোয় ‘ধুতি' ইন'': অগ্নিমিত্রা
৪০ উর্ধ্ব বিভাগে মিসেস ইন্ডিয়া খেতাবজয়ী মধ্য প্রদেশের নিমিশা সাক্সেনা সামুদ্রিক জীবনে টেক্সটাইল দূষণের ক্ষতিকারক প্রভাবের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য তার বিশেষ মৎসকন্যা পোশাকে দর্শকদের তাক লাগান।
নিমিষা বলেন, “টেক্সটাইল দূষণ হ্রদ থেকে শুরু করে সমুদ্র অবধি সমস্ত জলাশয়কে প্রভাবিত করে। এই দূষণ জলজ এবং সামুদ্রিক জীবনকে ধ্বংস করে দেয়। পুরনো পোশাক পুনরায় ব্যবহার এবং রিস্টাইল করে ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা এই দূষণ কমাতে পারি।”
হায়দরাবাদের বন্দনা লাহোটি একটি শাল পরেছিলেন যা বায়ু, জল, স্থলজ এবং টেক্সটাইল দূষণের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতনতার চিত্রকর্মে ঠাসা।
Durga Puja 2019: সোনা-রুপো নয়, অলঙ্কারের অহঙ্কার হোক কাঁথাকাজ, সেরামিক
কাঞ্চিভরম শাড়ি থেকে স্কার্ট তৈরি করেছেন ছত্তিশগড়ের বাস্তারের রীনা এক্কা। ‘চ্যারিটি কুইন' খেতাব জেতেন তিনি। অরুণাচল প্রদেশের ইওরাম মামা জীর্ণ কাপড়ের টুকরো ব্যবহার করে একটি প্যাচওয়ার্ক তৈরি করেছিলেন।
শুক্রবারের এই বিশেষ অনুষ্ঠানটি ছিল মিসেস এশিয়া ইন্টারন্যাশনাল বিজয়ী দীপালি ফাদনিসের মস্তিষ্কপ্রসূত। তিনি জানান, তাঁর এই উদ্যোগের লক্ষ্যই হচ্ছে ‘দ্রুত ফ্যাশনের বদলে টেকসই ফ্যাশন।”
দীপালি বলেন, “টেক্সটাইল দূষণ একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। আমাদের ওয়ার্ড্রোবগুলোতে থাকা ৪০% পোশাক কখনও পরাই হয় না। যেমন ধরুন, আমাদের বিয়ের পোশাক। টেক্সটাইল বর্জ্যকে নতুন ভাবে ব্যবহার করে আমরা সচেতনতা বাড়াতে এবং বিষয়টিকে আলোচনায় নিয়ে আসতে চেয়েছি।”