শুধু স্বাধীনতা দিবসে ঘোষণার জন্য করোনা টীকার ফাস্টট্র্যাকিং ট্রায়াল: সিপিআইএম
নয়াদিল্লি: চিকিৎসা বিজ্ঞানের উদ্ভাবনে কোনও কিছু চাপিয়ে দেওয়া যায় না। ১৫ অগাস্টের মধ্যে করোনা টীকার ট্রায়াল নিষ্পত্তি প্রসঙ্গে এই দাবি করলেন সীতারাম ইয়েচুরি (Sitaram Yehchury)। তাঁর অভিযোগ, "করোনার টীকা বাজারে ছাড়তে ১৫ অগাস্টের মধ্যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছে আইসিএমআর (ICMR)। আদতে স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi on Independence day) ঘোষণা করতে পারবেন। তাই এই উদ্যোগ।" ভারত বায়োটেকের সঙ্গে যৌথ গবেষণায় করোনার টীকা কোভ্যাক্সিন তৈরি করা হয়েছে। এমনটাই খবর আইসিএমআর সূত্রে। কিন্ত সেই ভ্যাকসিন বাজারে ছাড়তে প্রয়োজন ক্লিনিকাল ট্রায়াল। সেটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। গবেষকরা বলছেন, "মোট চারটি ধাপে ক্লিনিকাল ট্রায়াল হয়। আর সেই ধাপ সম্পূর্ণ করতে সময় লাগে আট-নয় মাস। কিন্তু এখানে ভারত বায়োটেক সময় পাবে পাঁচ সপ্তাহ। এটা তড়িঘড়িতে নেওয়া সিদ্ধান্ত। হিতে বিপরীত না হয়!"
বিশেষজ্ঞদের এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে সিপিআইএম-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির টুইট, "অতিমারীর হাত থেকে মানব সভ্যতাকে বাঁচাতে ভ্যাকসিন একমাত্র বিকল্প। বিশ্ব সেই ভ্যাকসিন আবিষ্কারের অপেক্ষায়। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞানের উদ্ভাবনীতে কোনও কিছু চাপিয়ে দেওয়া যায় না। স্বাস্থ্যবিধি ও মানব নিরাপত্তা উপেক্ষা করে তড়িঘড়ি মানব ট্রায়াল সম্পন্ন করা আদতে প্রধানমন্ত্রীকে ১৫ অগাস্টের ভাষণের অংশ করে দেওয়া।" দেখুন তাঁর টুইট:
এবিষয়ে তিনি কয়েকটা প্রশ্নও করেছেন। তাঁর টুইট, "ড্রাগ কন্ট্রোলারের অনুমোদন ছাড়া কীভাবে আইসিএমআর টীকা বাজারে ছাড়ার দিন ঘোষণা করল? কতজনের দেহে এই টীকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হবে? ১৪ অগাস্টের মধ্যে কি প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপ সম্পন্ন করা সম্ভব?"
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)