This Article is From Oct 12, 2018

দৃষ্টিহীনদের প্রথম দিশা সম্মান জানাল দিশা চক্ষু চিকিৎসালয়

দিশা আই হসপিটাল এ বছরই প্রথম দিশা সম্মান ২০১৮ চালু করল। ৮ অক্টোবর মহালয়ার পূণ্য দিনে কৃতীদের সম্মাননা জা‌নাল তারা।

দৃষ্টিহীনদের প্রথম দিশা সম্মান জানাল দিশা চক্ষু চিকিৎসালয়

অনুষ্ঠানের একটি মুহূর্ত

কলকাতা:

পূর্ব ভারতের অন্যতম বড় চোখের হাসপাতাল দিশা আই হসপিটাল। এ বছরই তারা প্রথম দিশা সম্মান ২০১৮ চালু করল। ৮ অক্টোবর মহালয়ার পূণ্য দিনে কৃতীদের সম্মাননা জা‌নাল তারা। রামকৃষ্ণ মিশন ব্লাইন্ড বয়েজ অ্যাকাডেমি নরেন্দ্রপুর, ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য ব্লাইন্ড ইন ইন্ডিয়ার ইস্ট জোন সেক্রেটারি চিন্ময় মণ্ডল এবং পার্ক স্ট্রিটের এপিজে স্কুলের এক দৃষ্টিহীন পড়ুয়া রশ্মি মারুভরকে সম্মানিত করেন এই সংস্থা। তাদের হাতে সম্মান তুলে দেন অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন ক্রিকেটার সম্বরণ ব্যানার্জী, ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পাল এবং দিশা আই হসপিটালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডাক্তার দেবাশিস ভট্টাচার্য।

এর উদ্দেশ্য, দৃষ্টিহীনতার মতো সমস্যা থাকা সত্ত্বেও সেই বাধা টপকে সব প্রতিকূলতাকে জয় করে যারা জীবন যুদ্ধে হার না মেনে প্রতিষ্ঠাকে ছিনিয়ে এনেছেন তাদের সম্মানিত করা। যে সব সংস্থা বা এনজিও দৃষ্টিহীনদের সুবিধার্থে কাজ করে তাদের সম্মান্নিত করা হয়। ডাক্তার দেবাশিস ভট্টাচার্য বলেন, এর মাধ্যমে আমরা চেয়েছি বিশেষ ভাবে সক্ষম মানুষদের আরও উৎসাহিত করতে। যাত তারা আরও এগিয়ে আসেন, স্বাভাবিক জীবনযাপনে কোথাও পিছিয়ে না পড়েন। দিশা সম্মান প্রাপকদের হাতে মানপত্র এবং ৫০০০০ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।

নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন এ সম্মানে ভূষিত হয় কারণ সংস্থা জানায়, দৃষ্টিহীনদের জন্য তারা এত বছরে যা কাজ করেছেন তা কথায় বলে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। সম্মানটি স্বামী সর্বপ্রেমানন্দ মহারাজ ও বিশ্বজিত ঘোষের হাতে তুলে দেওয়া হয়। চিন্ময় মণ্ডল স্পোটর্স জগতে দৃষ্টিহীনদের ভূমিকার জন্য সম্মানিত হন। পার্ক স্ট্রিট এপিজে স্কুলের ছাত্রী রশ্মি সিবিএসসি বোর্ড থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় কলাবিভাগে ৮৫% নম্বর নিয়ে পাশ করেছেন। দিশা আই হসপিটালের তরফে জানানো হয়েছে, এদের সম্মানিত করতে পেরে আমরা নিজেরাও সম্মানিত বোধ করছি।

.