বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বঢরা টুইট করে দাদার প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন
হাইলাইটস
- নির্বাচনের ভরাডুবির সমস্ত দায় নিয়ে কংগ্রেস সভাপতির পদ ছেড়েছেন রাহুল
- বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বঢরা টুইট করে দাদার প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন
- বহু কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, রাহুল তাঁদের কাছে সব সময় তাঁদের নেতাই থাকবেন
নয়াদিল্লি: জনতার উদ্দেশে লেখা চিঠিতে নির্বাচনের ভরাডুবির সমস্ত দায় নিয়ে কংগ্রেস সভাপতির পদ ছেড়েছেন রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi)। পরদিনই তাঁর বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বঢরা (Priyanka Gandhi Vadra) টুইট করে দাদার প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন। সব দায় নিজের কাঁধে নিয়ে কংগ্রেস সভাপতির পদ ছাড়া সম্পর্কে তিনি রাহুলকে লেখেন, ‘‘অল্প লোকেরই এমন সাহস আছে যা তুমি দেখালে।'' বুধবার একটি দীর্ঘ চিঠি পোস্ট করেন রাহুল। গত মাসেই কংগ্রেস নেতাদের তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর সিদ্ধান্তের কথা। সেই সঙ্গে এও বলেছিলেন, তিনি দায়িত্ব ছাড়ছেন কারণ কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি সন্দিগ্ধ। দাদার টুইটটি রি-টুইট করে প্রিয়ঙ্কা লেখেন, ‘‘অল্প লোকেরই এমন সাহস আছে যা তুমি দেখালে। তোমার সিদ্ধান্তের জন্য গভীরতর শ্রদ্ধা।''
“কাটমানি” নিয়ে লোকসভায় তৃণমূল-লকেট চট্টোপাধ্যায় বাকযুদ্ধ
রাহুল তাঁর চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘‘ভারতে এটা অভ্যাস যে ক্ষমতাবান ক্ষমতার সঙ্গে থাকে। কেউ ক্ষমতা ত্যাগ করে না। কিন্তু ক্ষমতার লিপ্সাকে ত্যাগ না করতে পারলে এবং গভীর আদর্শবাদী লড়াই না লড়লে আমরা আমাদের বিরোধীপক্ষকে হারাতে পারব না।''
অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের ঘোষণা মমতা সরকারের
কংগ্রেসের ‘আমূল পরিবর্তন' চেয়ে রাহুল আরও লেখেন, ‘‘দলকে পুনর্গঠন করতে প্রয়োজন কঠিন সিদ্ধান্তের। এবং ২০১৯-এর ব্যর্থতার জন্য বহু মানুষকে দায় নিতে হবে। দলের সভাপতি হিসেবে নিজের দায়িত্বকে এড়িয়ে অন্যদের দায়ী করা ঠিক নয়।''
তাঁর চিঠি থেকে পরিষ্কার, রাহুল চান কংগ্রেসে তাঁর পরিবারের যে প্রতিপত্তি, যা গত ১৩৩ বছর ধরে রয়েছে তা যেন কমে। তিনি এও লেখেন, ‘‘আমার বেশির ভাগ সহকর্মী আমাকে অনুরোধ করেছেন পরের সভাপতি আমি ঠিক করে দিই। যেখানে নতুন কাউকে দলের নেতৃত্বে রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ, সেখানে আমার কাউকে বেছে দেওয়াটা ঠিক নয়।''
গত ২৫ মে, নির্বাচনের ফলপ্রকাশের অব্যবহিত পরেই কংগ্রেসের কার্যকরী কমিটির বৈঠকে তাঁর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন রাহুল।
নির্বাচনে ২০১৪-র থেকে সামান্য বেশি আসন পেয়েছে কংগ্রেস। দেশজুড়ে এনডিএ-ঝড়ে দাঁড়াতেই পারেনি কংগ্রেস। উত্তরপ্রদেশের ৮০টি আসনে মাত্র একটি আসনেই জিতেছে তারা। যা প্রমাণ করে ব্যর্থতা কতটা গভীরে।
দলের তরফ থেকে বহু অনুরোধ সত্ত্বেও রাহুল নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থেকেছেন। জানিয়েছেন, পদ ছাড়ছেনই। যদিও বহু কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, রাহুল তাঁদের কাছে সব সময় তাঁদের নেতাই থাকবেন।