This Article is From Oct 31, 2019

তথ্য জানার অধিকার আইনের পরিবর্তন করায় সরকারকে আক্রমণ সনিয়া গান্ধির

তথ্য জানার অধিকার আইনকে ক্রমেই দুর্বল করে দিতে চাইছে বিজেপি সরকার। এইভাবেই সরকারকে আক্রমণ করলেন কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গান্ধি।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

সরকারকে আক্রমণ কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গান্ধির

নয়াদিল্লি:

তথ্য জানার অধিকার আইনকে (RTI) ক্রমেই দুর্বল করে দিতে চাইছে বিজেপি (BJP) সরকার। এইভাবেই সরকারকে আক্রমণ করলেন কংগ্রেসের সভাপতি সনিয়া গান্ধি (Sonia Gandhi)। তাঁর দাবি, নরেন্দ্র মোদি সরকার আইনকে তাদের প্রধান অ্যাজেন্ডাগুলিকে চাপিয়ে দেওয়ার পথে এক অন্তরায় হিসেবে দেখছে। নতুন তথ্য জানার আইনে তথ্য কমিশনারদের মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে তিন বছর করে দেওয়া হয়েছে। এর সপ্তাহখানেক পরেই মোদি সরকারকে আক্রমণ করলেন কংগ্রেস নেত্রী। অধিকার কর্মীরা জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপ তথ্য কমিশনারদের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে অবমাননা। সনিয়া গান্ধি জানিয়েছেন, ‘‘তথ্য কমিশনারদের মেয়াদ কমানোর অর্থ তাঁরা সরকারের দয়ার উপরে নির্ভরশীল হয়ে পড়লেন। এর জবাবদিহি করতে হবে।''

বৃহস্পতিবার সকালে সনিয়া গান্ধির বিবৃতিকে টুইট করেছে কংগ্রেস। সেখান থেকে জানা যাচ্ছে, সনিয়া আরও বলেছেন, ‘‘যে আধিকারিক সরকারের বিরুদ্ধে তথ্য প্রকাশকে অনুমতি দেবেন, এবার থেকে তাঁকে সহজেই সরিয়ে দেওয়া হবে বা আরও সহজভাবে বললে অফিসে আসতেই দেওয়া হবে না। এর ভয়ানক প্রভাব পড়বে কেন্দ্র ও রাজ্য সমস্ত তথ্য কমিশনারদের উপরেই।''

গত জুলাই মাসে তথ্য জানার অধিকার আইনের সংশোধনী বিল পাস হয়ে যায় সংসদের উভয় কক্ষেই।

Advertisement

এই পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে কমিশনারদের বেতন ও মেয়াদ উভয়ই। তাঁদের বেতন নির্বাচন কমিশন আধিকারিকরা নয় কেন্দ্রীয় সরকারের তত্ত্বাবধানেই হবে।

বিরোধীদের দাবি, এর ফলে তথ্য কমিশনারদের স্বাধীনতাই খর্ব হবে।

Advertisement

সনিয়া গান্ধির বক্তব্য, নির্দিষ্ট বেতন ও পাঁচ বছরের মেয়াদ— এই পরিকাঠামো কমিশনাদের স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করতে তৈরি করা হয়েছিল। তাঁর অভিযোগ, মোদি সরকার নিশ্চিত করতে চেয়েছে, যাতে কোনও আত্মসম্মান থাকা ব্যক্তি এরপর এই ধরনের শর্তে যাতে কাজ করতে না চায়। এবং এর ফলে কোনও কমিশনারই সরকারের হস্তক্ষেপ ও নির্দেশের বাইরে থাকলেন না।

এমাসের গোড়ায় অমিত শাহ জানান, সরকারের লক্ষ্য যত বেশি সম্ভব তথ্য সরাসরি ‘পাবলিক ডোমেন'-এ প্রকাশ করার এবং তথ্য জানার অধিকারের প্রয়োজনের হ্রাস ঘটানো।

Advertisement