হাইলাইটস
- দেশের সুরক্ষা সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার থেকে বড় বিষয়ঃ অরুণ জেটলি
- সংবিধানের রচয়িতাদের মনে হয়েছে জাতীয় সুরক্ষা সবার আগেঃ জেটলি
- স্বাধীনতার পর থেকেই কখনও এ নিয়ে প্রশ্ন ওটেনিঃ জেটলি
New Delhi: সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা (freedom of press) দেশের সুরক্ষার (national security) থেকে বড় বিষয় নয় বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি (Arun Jaitley)। রাফাল যুদ্ধ বিমান ( Rafale Deal) নিয়ে বিতর্ক বড় আকার ধারন করেছে। এ নিয়ে দ্য হিন্দু পত্রিকায় কয়েকটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। সেগুলি মোদী সরকারকে বেজায় অস্বস্তিতে ফেলেছে। এমতাবস্থায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মোদী সরকার বলেছে রাফালের সঙ্গে যুক্ত এমন কিছু কাগজ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে চুরি হয়ে গিয়েছে এবং সেটাই দ্য হিন্দু পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের উৎস। এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে অরুণ জেটলি বলেন, আমি খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই যে আদালতে চর্চার বিষয় নিয়ে বাইরে কথা বলা উচিত নয়। প্রতিরক্ষার সঙ্গে জড়িত বিষয় গুলি খুবই স্পর্শকাতর এবং তা প্রকাশ্যে চলে এসেছে। ভুলে যাবেন না ভারতে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা আছে আর সেটাকে আমরা সম্মানও করি। কিন্তু সংবিধানের রচয়িতারাও বলে গিয়েছে জাতীয় সুরক্ষা আগে। স্বাধীনতার পর গত ৭২ বছরে এব্যাপারে কোনও প্রশ্নও ওঠেনি।
লোকসভার প্রথম প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করল কংগ্রেস, রয়েছেন সোনিয়া-রাহুল, নেই প্রিয়াঙ্কা
কয়েক দিন আগে দ্য হিন্দু পত্রিকায় রাফাল চুক্তি নিয়ে পরপর কয়েকটি খবর প্রকাশিত হয়। তা থেকে জানা যায়,রাফাল কেনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর হস্তক্ষেপ করেছিল। অথচ কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টে আগেই জানিয়েছিল রাফাল চুক্তিতে মোদীর দপ্তরের ভূমিকা ছিল না। তবে সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের হস্তক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৎকালীন প্রতিরক্ষা সচিব। এই খবরকেই নিশানা করে মোদী সরকার আদালতে বলে রাফাল চুক্তির অনেক তথ্য চুরি হয়ে গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের এ জি কে কে বেনু গোপাল আদালতকে বুধবার বলেন, এভাবে খবর প্রকাশ করা মানে গোপনীয়তা আইনের লঙ্ঘন করা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন তথ্য চুরির সঙ্গে কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। সরকারের বক্তব্য সম্পর্কে দু হিন্দু পত্রিকার সম্পাদক এন রাম বলেন, খবরগুলি জনস্বার্থে ছাপা হয়েছে। এবং সেই তথ্য কে দিয়েছে তা কোনও অবস্থাতাতেই প্রকাশ করা হবে না।