পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্র সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে, জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী
নিউ দিল্লি: বাজারে পেঁয়াজ (Price Rise Onion) অগ্নিমূল্য, বলতে গেলে তা এখন মধ্যবিত্তদের হাতের বাইরে। বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির কথা পর্যন্ত ভাবতে হচ্ছে ভারত সরকারকে। এই রকম সংকট জনক অবস্থায় বুধবার সংসদ ভবনে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের (Nirmala Sitharaman) গলায় শোনা গেলে কৌতুকের সুর। তিনি খানিকটা মজা করেই বলেন, পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু তাতে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে খুব একটা সমস্যা নেই, কারণ তাঁর পরিবার পেঁয়াজ-রসুন দিয়ে করা রান্না খুব একটা পছন্দ করে না। সীতারমণ জানান, ''আমি খুব বেশি পেঁয়াজ রসুন খাই না...তাই চিন্তার কোনো কারণ নেই। আমি এমন পরিবারের মানুষ যেখানে পেঁয়াজ নিয়ে লোকজনদের খুব বেশি মাথা ব্যথা নেই।''
পেঁয়াজের অগ্নিমূল্য ঠেকাতে ৮০০ টন পেঁয়াজ আমদানি করছে রাজ্য
অর্থমন্ত্রীর এই ধরনের বক্তব্য শুনে উপস্থিত সাংসদরা হেসে ওঠেন। প্রসঙ্গত, যখন সংসদে কিভাবে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেই নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল, তেমন সময়ে অর্থমন্ত্রী এই কথা গুলি বলেন। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ জানিয়েছেন যে, পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য দেশের সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে। এমনকি কীভাবে শস্যভাণ্ডারে তা সুরক্ষিত রাখা যায়, তা নিয়েও আলোচনা চলছে।
কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম ছুঁতে পারে ১৫০ টাকা! দাবি ব্যবসায়ীদের
২০১৯-২০-র আর্থিক বছরের অনুদানের পরিপূরক চাহিদার প্রথম ব্যাচে লোকসভায় যে আলোচনা চলেছে তার জবাবে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, ''পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য কাঠামোগত কিছু পরিবর্তন আনা আবশ্যক, আর তার জন্য সরকার উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। তিনি জানিয়েছেন যে, পেঁয়াজ চাষের ব্যাপারে জমির পরিমান কম হওয়াতে উৎপাদনের পরিমানও কমেছে। কিন্তু কীভাবে পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায় সরকার সে বিষয়ে যথেষ্ট সজাগ। সীতারমণ আরও জানিয়েছেন, পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য নূন্যতম সহায়ক মূল্যের তহবিল-এর ব্যবহার করা হচ্ছে। এই কারণে ৫৭ হাজার মেট্রিক টনের বাফার স্টক বানানো হচ্ছে। এছাড়া মিশর ও তুর্কী থেকেও পেঁয়াজ আমদানির কথা ভাবছে কেন্দ্র সরকার। তিনি জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্র ও রাজস্থানের আলোয়ারের মতো স্থান থেকে দেশের অন্যান্য স্থানে পেঁয়াজ সরবরাহ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
(ভাষা থেকে সংগৃহিত)