চাণক্য নীতির মাধ্যমেই তিনি তাঁর বাজেট পেশ শুরু করেন।
হাইলাইটস
- অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন পেশ করলেন তাঁর প্রথম বাজেট
- বাজেট ভাষণে উঠে এল নানা বিখ্যাত কবি ও সমাজসেবকের উদ্ধৃতি
- স্বামী বিবেকানন্দ, চাণক্য এমনই নানা ব্যক্তির উদ্ধৃতি দেন তিনি
নয়াদিল্লি: অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman) শুক্রবার পেশ করলেন তাঁর প্রথম বাজেট (Budget)। বাজেটের ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি তুলে আনলেন সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের প্রসঙ্গ। স্বামী বিবেকানন্দ, চাণক্য থেকে দ্বাদশ শতকের কন্নড় সমাজ সংস্কারক ও দার্শনিক বাসবেশ্বরের উদ্ধৃতি তাঁর মুখে শোনা গেল। কর্নাটকের রাজ্যসভার সদস্য নির্মলা তাঁর প্রথম বাজেট ভাষণে এছাড়াও তুলে আনলেন অন্যান্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের উদ্ধৃতি— তামিল কবিতা থেকে উর্দু শায়েরি। বাসবেশ্বরকে বাসবান্ন নামেও ডাকা হত। তিনি ছিলেন একজন প্রগতিশীল সক্রিয় কর্মী। তিনি সামাজিক শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন। লড়েছিলেন জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত মানুষের জন্য। এদিন বাজেটে সেই মানুষটিকেই ইতিহাসের পাতা থেকে তুলে আনলেন অর্থমন্ত্রী।
Budget 2019: জেনে নিন কার কার দাম বাড়ল, কমল কোনগুলির
সবার প্রথমে চাণক্য নীতির মাধ্যমেই তিনি তাঁর বাজেট পেশ শুরু করেন। সেই নীতি হল ‘‘কার্যা পুরুষ করে না লক্ষ্যম সম্পা দায়াতে (প্রতিজ্ঞাবদ্ধ মানুষের চেষ্টা করলে সেই কাজ সম্পূর্ণ হবেই)।''
তিনি স্বামী বিবেকানন্দের উক্তিও তুলে ধরেন। বিবেকানন্দ বলেছিলেন, ‘‘বিশ্বের কল্যাণ হওয়া সম্ভব নয় ততদিন যতদিন না মহিলাদের পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। পাখি কখনও এক ডানায় উড়তে পারবে না।'' অর্থমন্ত্রী ২৯,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রকের জন্য।
দ্বাদশ শতকের কন্নড় সমাজ সংস্কারক ও দার্শনিক বাসবেশ্বরের দু'টি আর্থ-সামাজিক নীতির কথাও উল্লেখ করেন নির্মলা। সেই দু'টি হল ‘কায়াকা' (ঐশ্বরিকের মতো কাজ করা) এবং ‘দোসোহা' (সমান কাজের জন্য সমান মূল্য)। ‘কায়াকা'র অর্থ হল সমাজের প্রতিটি সদস্যই নিজের পছন্দ অনুযায়ী কাজ করবে এবং যতটা সম্ভব অকপটে কাজটি করবে। আর ‘দোসোহা' হল কাজের ন্যায্য মূল্য।
একবিংশ শতকের ভারতের প্রত্যাশা পূরণ করবে এই বাজেট: প্রধানমন্ত্রী মোদি
বছরের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বাসবান্নের প্রশস্তি করেন তাঁর ৯১৪তম জন্মদিনে। তাঁকে নিয়ে টুইটও করেন মোদি। তাঁকে কিংবদন্তি চিন্তাবিদ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। সমাজকে আরও সুন্দর করে গড়ে তুলতে তাঁর প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
নির্মলা সীতারামন তাঁর বাজেট পেশ করা শুরু করেন প্রয়াত উর্দু কবি মঞ্জুর হাশমির কবিতার পঙক্তি তুলে ধরে। তিনি বলেন, ‘‘ইয়েকিন হো তো কোই রাস্তা নিকলতা হ্যায়, হাওয়া কি ওট ভি লে কর চারাগ জ্বলতা হ্যায় (বিশ্বাস থাকলে কোনও না কোনও রাস্তা ঠিক পাওয়া যায়, হাওয়ার সাহায্যে প্রদীপ জ্বলে ওঠে )''।
অর্থমন্ত্রী পিসির আন্ধিয়ার-এর তামিল কবিতা থেকে উদ্ধৃতি দেন তাঁর বক্তৃতার দ্বিতীয় অংশে।