Wilful Defaulters: মোদি সরকারই ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের খুঁজে বের করছে, বলেন নির্মলা সীতারামন
হাইলাইটস
- রাহুল গান্ধিকে তীব্র আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন
- ঋণখেলাপিদের নিয়ে মঙ্গলবার বিজেপি সরকারকে বেঁধেন কংগ্রেস সাংসদ
- মোদি সরকার ঋণখেলাপিদের খুঁজে বের করতে সচেষ্ট হয়েছে, বলেন অর্থমন্ত্রী
নয়া দিল্লি: দেশের ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণখেলাপিদের (Wilful Defaulters) নাম নিয়ে যে তালিকা প্রকাশ করেছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI), মঙ্গলবার সেটিকে হাতিয়ার করেই বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন রাহুল গান্ধি। এবার কংগ্রেস সাংসদের (Rahul Gandhi) আক্রমণের জবাব দিতে মোট ১৩টি টুইট বাণ ছুঁড়লেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। "নির্লজ্জভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করার" চেষ্টা করছেন রাহুল গান্ধি, জবাবে এমনটাই বললেন তিনি (Nirmala Sitharaman)। পাশাপাশি এর সঙ্গে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিংয়ের প্রসঙ্গ তুলে ধরেও সীতারামনের সনিয়া পুত্রকে কটাক্ষ, "আশা করি, রাহুল গান্ধি এই ধরণের লিখিত অভিযোগ করার আগে এই সম্পর্কে ডঃ মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে নিয়েছিলেন"। মঙ্গলবার গভীর রাতে একের পর এক টুইটে রাহুল গান্ধিকে তীব্র আক্রমণ করেন দেশের অর্থমন্ত্রী।
নির্মলা টুইটে লেখেন, "লোকসভার সাংসদ রাহুল গান্ধি এবং কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা অত্যন্ত নির্লজ্জভাবে দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। কংগ্রেসের অভ্যেস মতোই তাঁরা প্রসঙ্গের বাইরে গিয়ে নানা চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন"।
“ব্যাঙ্ক জালিয়াতদের শীর্ষ তালিকায় বিজেপির বন্ধুরা”, বললেন রাহুল গান্ধি
মেহুল চোক্সি, নীরব মোদি, বিজয় মালিয়ার মতো দেশের প্রথম সারির ৫০ জন ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির নাম প্রকাশ করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক এও জানায় যে, এদের ৬৮,৬০৭ কোটি টাকার বকেয়া ঋণও অনুৎপাদক সম্পদের হিসেবের খাতা থেকে মুছে দেওয়া হয়েছে। আর এই তথ্য সামনে আসতেই বিজেপি তথা কেন্দ্রের মোদি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন রাহুল গান্ধি। বিজেপির বন্ধুদের ছাড় দেওয়া হয়েছে কেন, এমন প্রশ্নও তোলেন ওই কংগ্রেস সাংসদ।
"ভুল ব্যাখ্যার নতুন ধরণ": মার্কিন সংস্থার ধর্মীয় স্বাধীনতার রিপোর্টকে কটাক্ষ ভারতের
দেশের প্রথম ৫০ জন ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির নাম জানতে চেয়ে গত মাসেই সংসদে প্রশ্ন তোলেন রাহুল গান্ধি। কিন্তু সেই সময় অর্থ মন্ত্রক তাঁর প্রশ্নের কোনও জবাব দেয়নি। এরপরেই তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করেন সাকেত গোখলে। সেই আরটিআইয়ের জবাবেই উত্তরে জালিয়াতি ও ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণখেলাপি ৫০ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সেই তালিকাকেই হাতিয়ার করে সনিয়া পুত্র বলেন, “কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তখন জবাব দিতে চাননি। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এ বার নীরব মোদি, মেহুল চোক্সির মতো বিজেপির বন্ধুদের নাম ব্যাঙ্ক জালিয়াতদের তালিকায় তুলে দিয়েছে। সংসদে এই সত্যিটাই লুকিয়ে রাখা হয়েছিল”।
এরপরেই কেন্দ্রের তরফে জবাব দেওয়ার দায়িত্ব নেন অর্থমন্ত্রী। ইউপিএ আমলেই এই ঋণখেলাপিদের বাড়বাড়ন্ত হয়েছিল, এই কথা বলেন নির্মলা সীতারামন। নীরব মোদি, মেহুল চোক্সি, বিজয় মালিয়াদের মামলার কথা তুলে ধরে শানিত টুইট করেন তিনি।
মোদি সরকারই ইচ্ছাকৃতভাবে এই ঋণখেলাপিদের খুঁজে বের করছে, একথাও বলেন নির্মলা সীতারামন। "৯,৯৬৭ টি এই সংক্রান্ত মামলায় ৩,৫১৫ টি এফআইআর করা হয়েছে, এছাড়া পলাতক সংশোধনী আইনেও এখন বহু মামলা চলছে। নীরব মোদি, মেহুল চোক্সি এবং বিজয় মালিয়ার ঋণখেলাপি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এখনও পর্যন্ত তাঁদের যে সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সেগুলোর মোট মূল্য: ১৮,৩৩২.৭ কোটি টাকা", টুইটে এই হিসাবও তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
পাশাপাশি ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণখেলাপিদের আটকাতে কংগ্রেস আমলে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেও পাল্টা অভিযোগ করেন মোদি সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। "ক্ষমতায় থাকাকালীন বা বিরোধী দল হিসাবেও কংগ্রেস কখনোই দুর্নীতি বন্ধে কোনও আগ্রহ দেখায়নি", কটাক্ষ করেন তিনি।