हिंदी में पढ़ें Read in English
This Article is From Jun 12, 2020

"উদ্বেগের কিছু নেই", অর্থনীতি ঠিক আছে, রামচন্দ্র গুহকে জবাব দিলেন নির্মলা সীতারামন

Nirmala Sitharaman: রামচন্দ্র গুহকে দেশের অর্থনীতি নিয়ে চিন্তা করতে বারণ করলেন অর্থমন্ত্রী, "নিরাপদ হাতেই" আছে সব, বললেন সীতারামন

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

Nirmala Sitharaman: রামচন্দ্র গুহের সঙ্গে রীতিমতো টুইট যুদ্ধ হয় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর

Highlights

  • ঐতিহাসিক রামচন্দ্র গুহের সঙ্গে টুইটারে কথা কাটাকাটি অর্থমন্ত্রী
  • দেশের অর্থনীতি নিরাপদ হাতেই আছে, বললেন সীতারামন
  • রামচন্দ্রের সঙ্গে টুইট যুদ্ধ বাঁধে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিরও
নয়া দিল্লি:

এক ব্রিটিশ লেখকের উদ্ধৃতি তুলে ধরে দেশের অর্থনীতি (Economy) নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ঐতিহাসিক রামচন্দ্র গুহ (Ramachandra Guha)। আর তাই নিয়েই রীতিমতো টুইট যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman) এবং গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানির সঙ্গে। রামচন্দ্র গুহ ব্রিটিশ লেখক ও বামপন্থী নেতা ফিলিপ স্পাটের ১৯৩৯ সালের একটি উদ্ধৃতি টুইট করেন। সে সময়ে ফিলিপ লিখেছিলেন, ‘‘গুজরাট আর্থিক ভাবে উন্নত হলে, বৌদ্ধিক ভাবে পিছিয়ে পড়া প্রদেশ। বিপরীতে বাংলা আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকলেও, সাংস্কৃতিক ভাবে এগিয়ে''। এই টুইটের পরেই রামচন্দ্র গুহের সঙ্গে টুইট যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। শুধু তাই নয়, বিখ্যাত ওই ঐতিহাসিকের সঙ্গে টুইটে কথা কাটাকাটি হয় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনেরও।

চতুর্থ আক্রান্ত দেশ, ইংল্যান্ডকে পেরিয়ে গেল ভারত

রামচন্দ্র গুহকে দেশের অর্থনীতি নিয়ে চিন্তা করতে বারণ করেন অর্থমন্ত্রী, "নিরাপদ হাতেই" আছে সব, বলেন নির্মলা সীতারামন।

Advertisement

"দেশে নেই গোষ্ঠী সংক্রমণ! ৮৩টি জেলায় সংক্রমণ ১%-এর নীচে", দাবি করল আইসিএমআর

ঐতিহাসিক রামচন্দ্র গুহ মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাট অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হলেও "সাংস্কৃতিক দিক থেকে পিছিয়ে" রয়েছে।

গুজরাটের সংস্কৃতি নিয়ে প্রশ্ন তোলায় কোমর বেঁধে আক্রমণে নামেন অর্থমন্ত্রী। নির্মলা সীতারামন টুইটে বাগযুদ্ধ শুরু করেন রামচন্দ্র গুহের সঙ্গে। না, সীতারামনের এই টুইট মুখ বুজে হজম করেননি রামচন্দ্র গুহ। তিনি ফের টুইট করেন, ‘‘এখন দেখছি খোদ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নীরস ইতিহাসবিদের টুইট নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন। (দেশের) অর্থনীতি সত্যিই সুরক্ষিত হাতে!'' পাশাপাশি টুইট করে অর্থমন্ত্রীকে সতর্কও করেন রামচন্দ্র গুহ।

থেমে থাকেননি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিও। পাল্টা টুইটে তিনি লেখেন, ‘‘অতীতে ব্রিটিশেরা বিভাজনের রাজনীতি করে শাসন করত। আর বর্তমানে সেই দায়িত্ব নিয়েছে সমাজের এক শ্রেণির বুদ্ধিজীবী মানুষজন। কিন্তু ভারতীয়রা কিছুতেই ওই চালে পা দেবেন না। গুজরাট মহান। বাংলাও মহান। ভারত ঐক্যবদ্ধই রয়েছে।''

বিজয় রূপানির এই টুইটের জবাবে আবার ঐতিহাসিক রামচন্দ্র গুহ কটাক্ষ করে লেখেন, ‘‘গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী যখন আমার মতো নীরস ইতিহাসবিদের টুইটের দিকে খেয়াল রাখছেন তখন বুঝতে হবে যে গুজরাট সত্যিই নিরাপদ হাতে রয়েছে''।

সেই সময় নির্মলা সীতারামন আবার লেখেন, ‘‘গুহ ১৯৩৯ সালের যে ফিলিপ স্পাটের উদাহরণ টানছেন, সেই সময়ে জামনগরের মহারাজা জাম সাহেব দিগ্বিজয়সিংহ জাদেজা পোলান্ডের হাজার খানেক লোকের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন''।

এরপরেই রামচন্দ্র গুহ সীতারামনকেও কটাক্ষ টুইট করেন: "আমি ভেবেছিলাম যে কেবল গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীই আমার টুইটের দিকে খেয়াল রাখছেন, তবে এখন তো মনে হচ্ছে অর্থমন্ত্রীও এই নীরস ঐতিহাসিকের টুইটগুলি নিয়ে মাথাব্যথা করছেন। তাহলে সত্যিই বোধহয় অর্থনীতি নিরাপদ হাতে রয়েছে"।

Advertisement

এরপর অর্থমন্ত্রী ফের তাঁকে জবাব দেন।

তবে রামচন্দ্র গুহ শেষপর্যন্ত এই টুইট যুদ্ধের শেষ করেন। তিনি লেখেন, "লেখক ফিলিপ স্প্রেটকে আরও সুপরিচিত করে তোলার জন্য আমি তিরিশ বছর ধরে চেষ্টা করে গেলেও সেভাবে সফল হয়নি, আর আজ একদিনে আমার টুইটটি ট্রল করে তাঁকে পরিচিতি যাঁরা দিয়েছেন সেই ট্রল আর্মিকে ধন্যবাদ জানাই"।

Advertisement