কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Finance Minister Nirmala Sitharaman) দ্রুত ও তীক্ষ্ণ জবাব দিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের মন্তব্যের।
হাইলাইটস
- মনমোহন সিংহের মন্তব্যের জবাব নির্মলা সীতারামনের
- বৃহস্পতিবার মনমোহন সিংহ বর্তমান সরকারকে আক্রমণ করেন
- তার আগে ইউপিএ সরকারকে আক্রমণ করেন অর্থমন্ত্রী
নয়াদিল্লি: অর্থনীতি (Economy) নিয়ে কথার লড়াই চলছেই। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Finance Minister Nirmala Sitharaman) দ্রুত ও তীক্ষ্ণ জবাব দিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের (Manmohan Singh) মন্তব্যের। মনমোহন সিংহ বলেছিলেন, সরকার বিরোধীর উপরে দায় চাপাতে উন্মনা। এর জবাবে আমেরিকায় সাংবাদিকদের অর্থমন্ত্রী জানালেন, ‘‘কখন ও কীভাবে ভুল হল একটা পর্যায়ে, সেটা মনে করা অত্যন্ত দরকারি।'' তাঁর সময়েও কিছু ‘দুর্বলতা' তৈরি হয়েছিল সেকথা স্বীকার করে নিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, মোদি সরকার প্রতিটি অর্থনৈতিক সঙ্কটের সময় তাঁর সরকারকে দায়ী করা বন্ধ করুক। তাঁর মতে, পাঁচ বছর যথেষ্ট সময় সমাধান বের করার জন্য।
এর উত্তরে নির্মলা সীতারামন বলেন, ‘‘আমি ড. মনমোহন সিংহকে সম্মান করি আমাকে অভিযোগের খেলা না খেলতে বলার জন্য। কিন্তু কখন ও কীভাবে ভুল হল একটা পর্যায়ে, সেটা মনে করা অত্যন্ত দরকারি এই প্রসঙ্গে যখন আমাকে অভিযুক্ত হতে হচ্ছে যে অর্থনীতি নিয়ে কোনও কথা বলা হচ্ছে না।''
IMF যে আভাষই দিক না কেন, ভারত "দ্রুত উন্নতিশীল" দেশের মধ্যেই রয়েছে: অর্থমন্ত্রী
গত বৃহস্পতিবার মনমোহন সিংহ বলেন, ‘‘আমি যখন অফিসে ছিলাম, যা হওয়ার তা হয়েছে। কিছু দুর্বলতা ছিল। কিন্তু আপনারা অভিযোগ আনতে পারেন না যে, সব সময় ভুলটা ইউপিএ-র সঙ্গেই হয়েছে। আপনারা পাঁচ বছর ধরে অফিসে আছেন। কেবল ইউপিএ-কে দায়ী করা ঠিক নয়।''
কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনের ‘যৌথ' আমলে “সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে” ছিল পাবলিক সেক্টরের ব্যাংক (পিএসবি)।
অসম এনআরসির কো-অর্ডিনেটরকে মধ্যপ্রদেশে বদলির নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট
বৃহস্পতিবার সেই মন্তব্যের জবাব দেন প্রাক্তন মনমোহন সিংহ। তিনি বলেন, "আমি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বক্তব্য সবেমাত্র দেখেছি। আমি এই বক্তব্য সম্পর্কে মন্তব্য করতে চাই না, তবে এটুকু বলতে পারি যে অর্থনীতিকে সংশোধন করার আগে অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতির সঠিক কারণ নির্ণয়ের প্রয়োজন হয়। সরকার তা না করে ব্যস্ত রয়েছে অপরপক্ষকে দোষারোপ করতে। সুতরাং তারা এমন কোনও সমাধান সূত্র খুঁজে পাচ্ছে না যা অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে।"
কয়েক ঘণ্টা পরেই উত্তর দিলেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আমি বুঝতে পারছি ভারতে এরই মধ্যে বহু আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে যে, অর্থমন্ত্রীকে দেশ থেকে বের করে দেওয়া উচিত। তিনি কী করে সেই সব ইস্যু নিয়ে কথা বলতে পারেন, যা অবশ্যই দেশের মধ্যে বসে বলা উচিত।''
তিনি আরও বলেন, ‘‘যদি আমাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ থেকে থাকে যে, আমরা কোনও বিবৃতি রাখছি না অর্থনীতি নিয়ে, তাহলে আমি দুঃখিত যে সম্ভবত এই সব আমরা যা বলেছি অর্থনীতি বা তার লক্ষ্য কিংবা যে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি অথবা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সমস্যা নিয়ে, যে শিল্পগুলি সঙ্কটে পড়েছে তা নিয়ে, সেই সব বার্তাগুলি সম্ভবত সেই সব মানুষদের কাছে পৌঁছয়নি যাঁরা আমাদের সম্পর্কে এমন মন্তব্য করছেন।''
পাশাপাশি তিনি জানান, তিনি কাউকে অভিযুক্ত করতে চান না। কিন্তু তিনি বিগত ইউপিএ সরকারের ত্রুটি প্রসঙ্গ জানান, সেই সময় ব্যাঙ্কে কী হয়েছে। সেই সময় সরকার সেই ব্যক্তিদের টাকা পাইয়ে দিয়েছে, যাঁরা এই সরকারের আমলে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে সেই ভয়ে।
তবে তিনি এও বলেন, তিনি এখনকার সঙ্গে তখনকার পরিস্থিতি মেলাতে চান না। তিনি বলেন, ‘‘আমি আশা করব কংগ্রেসের সাহস হবে এটা শোনার যে, আমরা কখনও ভুল বা দুর্নীতি করিনি। আমরা কোনও অন্তরঙ্গ বন্ধুকে ঋণ পাইয়ে দিইনি। আমরা কোনও ভুল কাজকে সমর্থন করিনি।''
ইউপিএ সরকারের সময়ে কতগুলি দুর্নীতি মামলা হয়েছে সে কথাও জানতে চান তিনি।
প্রিয়া প্রকাশের সঙ্গে 'শ্রীদেবী বাংলো'তে দেখা যাবে তাঁকে। আগামী দুটি নতুন সিনেমা নিয়ে NDTV-র সঙ্গে আলাপচারিতায় কী বললেন প্রিয়াংশু চট্টোপাধ্যায়? দেখুন ভিডিও—