Fire Incident: সকাল ৯টা নাগাদ দিল্লির পরিবহণ দফতরে আগুন লাগে
হাইলাইটস
- দিল্লির পরিবহণ দফতরে সোমবার বিধ্বংসী আগুন লাগে
- সরকারি কার্যালয়ে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চাঞ্চল্য
- ঘটনাস্থনে ছুটে যায় দমকলের ১০ টি ইঞ্জিন, তবে হতাহতের খবর নেই
নয়া দিল্লি: সপ্তাহের শুরুতেই ফের অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী থাকল রাজধানী দিল্লি। জানা গেছে, দিল্লির পরিবহণ দফতরের (Delhi Transport Department) সিভিল লাইনে হঠাৎই আগুন (Delhi Fire) লাগে। খবর পেয়ে আগুন নেভাতে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ১০ টি ইঞ্জিন। এখনও পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডের কারণে কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। সোমবার সকাল ৯টা নাগাদ ওই আগুন লাগে বলে জানা গেছে। কীভাবে দিল্লির ওই সরকারি কার্যালয়ে (Delhi Government Office) আগুন লাগলো তা খতিয়ে দেখছেন দমকলের কর্মীরা। তবে প্রাথমিক ভাবে এখনও কীভাবে ওই আগুন লাগলো তা জানা যায়নি। ওই অগ্নিকাণ্ডের কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত করা হবে বলে খবর।
দিল্লির দমকল বিভাগের প্রধান অতুল গর্গ জানান, "পরিবহণ বিভাগের সিভিল লাইন্স মেট্রো স্টেশনের কাছে থাকা অফিসে ওই অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়া যায়।"
ছবিতে দেখা যায় যে, ওই অগ্নিকাণ্ডের জেরে কুণ্ডলি পাকিয়ে একরাশ ধোঁয়া আকাশে উঠেছে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়।
একের পর এক অগ্নিকাণ্ড ঘটেই চলেছে দিল্লির নানা জায়গায়। ফলে সেখানকার অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এর আগে গত সপ্তাহেও ভয়াবহ এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সাক্ষী থেকেছে রাজধানীর মানুষ। সেই সময় দিল্লির উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে লরেন্স রোডে একটি জুতো তৈরির কারখানায় বিধ্বংসী আগুন লাগে। খবর পেয়ে আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় দমকলের ২৬টি ইঞ্জিন।
দিল্লির লরেন্স রোডে জুতো তৈরির কারখানায় বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড
এর আগে ১১ জানুয়ারি, দিল্লির হরি নগর এলাকায় আরও একটি জুতো উৎপাদন কারখানাতেও আগুন লাগে। সেই সময় ওই ঘটনায় দুজন আহত হন বলে জানা গেছে।
এর আগে গত বছরের শেষের দিকে এক মাঝরাতে ভয়াবহ আগুন ধরে উত্তর-পশ্চিম দিল্লির কিরারি এলাকায় একটি কাপড়ের গুদামে । ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মারা যান ৯ জন ও আহত হন আরও ১০ জন।
উত্তরপশ্চিম দিল্লির কাপড়ের গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা ৯, আহত ১০
তার কিছুদিন আগেই উত্তর দিল্লির জনাকীর্ণ অঞ্চলে লাগেজ তৈরির কারখানায় আগুন লাগার ফলে মারা গিয়েছিলেন কমপক্ষে ৪৩ জন মানুষ। সেখানে ভোর পাঁচটা নাগাদ আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটে, রানি ঝাঁসি রোডের আনাজ মাণ্ডির কারখানায় আগুন লাগার ফলে ঘুমিয়ে থাকা শ্রমিকদের মধ্যে বেশির ভাগই মারা গিয়েছিলেন বলে খবর আসে।